ভারতে তরুণীকে ধর্ষণে জড়িত ৫ বাংলাদেশিই ছিল পাসপোর্ট-ভিসা বিহীন

- আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১ ২০৯ বার পড়া হয়েছে
ভারতের তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ বাংলাদেশির অবৈধভাবে গিয়েছিলো। কারোর পাসপোর্ট কিংবা ভিসা ছিল না। তেমন তথ্যই জানালেন, তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ। শনিবার বিকালে শ্যামলীতে তেজগাঁও উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানালেন, ভারতে তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা অবৈধভাবে সেখানে গিয়েছিল। এই চক্রটি স্কুল কলেজের মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করতো। এই পুলিশ কর্তা আরও জানান, যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ভারত এবং বাংলাদেশে পৃথকভাবে মামলা হয়েছে। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে।
গ্রেফতার যুবকরা আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য উল্লেখ করে পুলিশের এই ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে টিকটক হৃদয় নারীদের নিয়ে ভারতের যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দিত। তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে টিকটকের মাধ্যমে উঠতি বয়সী স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের টার্গেট করা হতো।

পরে তাদের ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করতো। এ চক্রের আরও কয়েকজনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই চক্র অনেককে পাচার করেছে, এ সংখ্যা কম নয়। ভারতের মতো করে মামলার তদন্ত করবে এবং আমরা আমাদের মতো করে তদন্ত করবো। তবে অপরাধীরা যেহেতু বাংলাদেশি, তাই দুই দেশের মধ্যে আন্তঃসমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
মো. শহিদুল্লাহ বলেন, পুলিশ সন্ধান পেয়েছে, টিকটক ভিডিওর জন্য তাদের একত্রিত করে এক পর্যায়ে পাচারের কাজ করা হয়। এ চক্রের মূল আস্তানা ব্যাঙ্গালুরুর আনন্দপুর এলাকায়। পাচারের উদ্দেশ্য হচ্ছে পতিতাবৃত্তি। বিভিন্ন হোটেলের সঙ্গে চক্রটির চুক্তি রয়েছে। বিভিন্ন হোটেলে তারা মেয়েদের সরবরাহ করে এবং আর্থিক সুবিধা পায়। চক্রের সদস্যরা তরুণীদের নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি খাইয়ে মোবাইলফোনে ভিডিও করে, পতিতাবৃত্তি করাতে বাধ্য করতো বলে জানান তিনি।