ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত পথে যাতায়ত বন্ধ করল বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১ ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

নবারুণ, ঢাকা
এরই মধ্যে করোনার আক্রান্তর দিক দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারত। পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করায় সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত পথে যাতায়ত বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তবে পণ্যবাহী যান চলাচল করবে। এর আগে থেকেই দেশটির সঙ্গে আকাশপথ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছেন। দুই সপ্তাহ তা মানুষের যাতায়াত বন্ধ থাকবে। তবে ছাড়া দেওয়া হয়েছে, পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সব স্থল সীমান্ত ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। তবে পণ্য পরিবহন চলবে।
রবিবার বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতে করোনা মহামারীর ব্যাপক বিস্তার বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, মানুষ চলাচল বন্ধ থাকলেও, সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা সচল থাকবে। এছাড়া যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে কোভিড টেস্ট ও কলকাতা মিশনের ছাড়পত্র সাপেক্ষে বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ছাড়া সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ বন্ধ আছে। ২৮ এপ্রিলের পর ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
ভারতে গত তিন দিনে প্রায় ১০ লাখ মানুষের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৬ জন। এই সময়ে মৃত হয়েছে ২ হাজার ৬২৪ জন।
ভারতের রাজধানী দিল্লির হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি হয়ে পড়েছে বেসামাল।
এর আগে জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধের প্রস্তাব করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি। কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহর মতে একেবারেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতের সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ করা দরকার।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খুব বেশি যাতায়াত হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। ভারতে করোনার নতুন রূপ শনাক্ত হওয়ায় দেশটির সঙ্গে জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধের প্রস্তাব দেয় জাতীয় কমিটি।
ঢাকা থেকে ঋদ্ধিমানের রিপোর্ট