ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল শাপে বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

- আপডেট সময় : ০৯:১৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলকে শাপে বর বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। নিজ দপ্তরে উপদেষ্টা বলেন, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের বিষয় আমাদের জন্য শাপে বর হয়েছে। তাদের ওপর নির্ভরশীলতাটা কমে গেছে এবং আমাদের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। ভারতের ভূমি ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠানো তথা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা গত এপ্রিলে বাতিল করে দিল্লী।
অবশ্য বাংলাদেশ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছে। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একটি মেকানিজম দাঁড়িয়ে গেছে, দিল্লির পরিবর্তে চিটাগাং এবং সিলেট থেকে পণ্য যাচ্ছে। কোনও সমস্যা হচ্ছে না। এটি ভালো হয়েছে বলে মনে করেন তৌহিদ হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কেন সবকিছুর জন্য অন্য দেশের ভেতর দিয়ে আমাদের ট্রানজিট করতে হবে।
পণ্য এখান থেকে সরাসরি যেতে পারে এবং এখান থেকে যেমন যাচ্ছে। ভারত একের পর এক সুবিধা বাতিল করছে, এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরাও আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি সুবিধা বাতিল করেছি। আমরা স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করেছি। সেটি আমাদের প্রয়োজন ছিল বলেই করেছি। কিন্তু তারা যেটি করেছে, এটি তাদের প্রয়োজনের জন্য করেছে কিনা, তা আমি জানি না।
শেখ হাসিনাকে পাঠনো প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং ভারত থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমরা কোনও জবাব পাইনি। শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য গত বছর চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সীমান্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমদিকে প্রচন্ড প্রতিবাদ করেছিল। ভারতীয় কূটনীতিকদের তলব করে প্রদিবাদপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে সীমান্ত হত্যাকান্ড হলে সেসব করা হচ্ছে না কেন, জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এগুলো গা সওয়া হওয়া সম্ভব নয়। এগুলো নিয়ে নমনীয়তা দেখানো সম্ভব নয়। আমরা এগুলোর প্রতিবাদ করছি এবং এই প্রক্রিয়া চালু আছে। এ বিষয়ে আমরা অবশ্য শক্ত ভাষায় প্রতিবাদ করবো। এই বিষয়টিকে কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।