ছবি সংগ্রহ
“ব্যবসায়ীদের লেনদেন সুবিধায় পশুর হাট এবং পাশ্ববর্তী ব্যাংক আজও খোলা থাকবে”
রাত পোহালেই কোরবাণীর ঈদ। সারারাত ধরেই হাটে পশু বিক্রি হবে। ঢাকার প্রতিটি গরুর হাটে কঠোর নিরাপত্তা। আইন প্রয়োগকারী সদস্যরা পালা করে দিনরাত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
যে কোন ধরণের বাড়তি ঝামেলা মোকাবিলায় রয়েছে বাড়তি ফোর্স। ঈদকে নির্বিঘ্ন করতে সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার। জোরকদমে চলছে টহল নজরদারী। রেল, বাস,
লঞ্চ টার্মিনালে ‘বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প’। তাছাড়াও পশুর হাট এবং আশপাশ এলাকায় চলছে সর্বক্ষণিক টহল।
ঈদের সময় গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোরবানির পশুর দাম পরিশোধ এবং ব্যবসায়ীরা যেন নির্বিঘ্ন লেনদেন করতে পারেন, সে জন্য
মঙ্গলবারও ঢাকার পশুর হাটের ব্যাংকবুথ ছাড়াও পাশ্ববর্তী এলাকার ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক দুটি নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঈদের আগে গ্রাহকরা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংকে জমানো অর্থ থেকে অতিরিক্ত উত্তোলন করেন। এ কারণে ব্যাংকে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে যায়। স্বল্প সময়ে চাহিদা
বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যাংকেরই নগদ টাকার সংকট দেখা দেয়। তা মেটাতে এক ব্যাংক অপর ব্যাংক থেকে স্বল্প সময়ের জন্য ধার নিয়ে থাকে। ‘যাকে ব্যাংকিং ভাষায় কলমানি মার্কেট বলা হয়ে থাকে’।
প্রায় প্রতি বছরই ঈদের আগে কলমানি মার্কেট উত্তপ্ত হয়। ধার নিতে এ সময়ে অন্য সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয় সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোকে। কিন্তু গেল বছর ও চলতি বছর ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছে। কলমানি মার্কেটে তেমন উত্তাপ নেই।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তাতে বলা হয়, কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত পশুর হাটগুলোতে বিপুল ব্যবসায়ীর সমাগম ঘটে। প্রচুর পরিমাণ নগদ
অর্থের লেনদেন হয়। ফলে হাটগুলোতে আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তার বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ঈদ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার ছুটি। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
স্বাভাবিকভাবেই পাঁচদিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক। এই সময়ে পশুর হাটের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা কারো যেন অর্থসংকটে পড়তে না হয়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।