বেশিরভাগ ফিলিপিনো চায় না করোনা টিকা, বিশেষ করে চীনা ডোজ

- আপডেট সময় : ০৬:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১ ১৮৪ বার পড়া হয়েছে
করোনাভাইরাসের টিকার ডোজ সরবরাহে বিলম্ব, বিশৃঙ্খলা এবং অনিয়মিত সরবরাহের জন্য ফিলিপাইনে দুই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, প্রথমত- সে দেশের বেশিরভাগ নাগরিক করোনাভাইরাসের টিকা নিতে চায় না। আর দ্বিতীয়ত, করোনাভাইরাসের টিকার চীনা ডোজ তারা নিতে চায় না।
গত ১৭ মে ম্যানিলার প্যারানাক সিটির টিকাদানকেন্দ্রে ফাইজারের করোনা টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের ঢল নেমেছিল। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মানুষের ভিড় এতোটাই ছিল যে, মানুষজন কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বিধি মানতে পারেনি। এমনকি যাদের সেখানে টিকা নেওয়ার কথা নয়, তারাও সারিতে দাঁড়িয়ে ভিড় করেছিল।
সে তুলনায়, যেসব কেন্দ্রে চীনেরিসিনোভ্যাকের তৈরি করোনা টিকার ডোজ হচ্ছে, সেখানে খুবই কম সংখ্যক মানুষ যাচ্ছে। ফিলিপাইনের করোনা টাস্ক ফোর্সের সাবেক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ডা. অ্যান্থনি লিচন বলেন, আমি মনে করি কার্যকারিতা এবং সুরক্ষার জন্য প্রমাণিত মানের ওষুধ উৎপাদন করার জন্য মার্কিন ওষুধ সংস্থাগুলোর রেকর্ড। দুর্দান্ত গবেষণা এবং উন্নয়নের ফলাফল তাদের তৈরি ওষুধ।
এবিএস-সিবিএন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনোভ্যাকের ৫৫ লাখ ডোজ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২৫ লাখ ডোজ এবং ফাইজারের এক লাখ ৯৩ হাজার ডোজ পেয়েছে ফিলিপাইন।
এর আগে বলা হয়েছে, সে দেশের জনসংখ্যা ১১০ মিলিয়ন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য অন্তত ৭০ মিলিয়ন ডোজ করোনা টিকা দরকার বলে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল।
গত ১ মার্চ থেকে সে দেশে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ২৪ মে পর্যন্ত মাত্র ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৯ জন ফিলিপিনো করোনা টিকা নিয়েছেন।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট