ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে অঙ্কন গুচ্ছাইত-এর কবিতা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১ ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘ডেকে ডেকে বলা’

দেখছো তোমরা – দাঁড়িয়ে গাছ

কাঁদছে কেমন গুমরে আজ ।

পাশে-তে তাঁর সাঙ্গ পাঙ্গ

কেটে করেছো প্রীতির ভঙ্গ ।

অক্সিজেনের নেই হই-হুল্লোড়

প্রকৃতির ভারসাম্যে অগড়বগড় ।

বরফের পাহাড় ভেঙ্গে সমুদ্রে পড়ে

ভূমিকম্পে ঘর-দোর নড়ে-চড়ে ।

ভূগর্ভে জল নেই পর্যাপ্ত

গ্রীষ্মের রোদে প্রাণিকূল মর্মার্থ ।

ধোঁয়ায় ঘিরা পৃথিবী চারুধার

অঙ্কুরিত চারা দ্যাখে সৎকার ।

ইটের ইমারতে থাকবে এঃ সিঃ-তে

কাল তোমারও শিশু জন্মাবে ঘরেতে ।

সেই শিশু চাইবে শুতে রোদে

পৃথিবী গেলে থেমে চালানো কি সিধে !

আমি গাছ তোমাকে বলছি শোনও

আমাকে প্রিয় বলে তোমরা মানও ।

ছোট্ট গর্তে একটি চারা দাও পুঁতে

তুমি আর আমি বাঁচবো সাথে ।

(কবিতার গহিনের শাখা-প্রশাখায় বিচরণ অঙ্কন গুচ্ছাইতের। বিশিষ্ট ব্যক্তি ছাড়াও প্রায় সকল মাধ্যমে তার কবিতা রয়েছে। লিখে চলেছেন মনের দরজা খুলে। তার লেখার সবচেয়ে বড় গুণটি হচ্ছে, মানববন্দনা। সকল ধর্মের সমন্বয়ে যদি মানুষ হয়, তাহলে কবি মানববন্দনারই পক্ষে। মেদহীন লেখা। প্রতিটি লেখায়ই চেষ্টা চালিয়ে যান একটি স্পষ্ট চিত্র আঁকার। অঙ্কন বাবুর এই বিষয়টি মজবুত বলতে হয়। মানুষের প্রতি, সাহিত্যের গহিন অরণ্যে না হারালে যে এমন প্রত্যাশা করা যায় না। কবির কাছে আরও আরও —- প্রত্যাশা। )

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে অঙ্কন গুচ্ছাইত-এর কবিতা 

আপডেট সময় : ১০:০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

‘ডেকে ডেকে বলা’

দেখছো তোমরা – দাঁড়িয়ে গাছ

কাঁদছে কেমন গুমরে আজ ।

পাশে-তে তাঁর সাঙ্গ পাঙ্গ

কেটে করেছো প্রীতির ভঙ্গ ।

অক্সিজেনের নেই হই-হুল্লোড়

প্রকৃতির ভারসাম্যে অগড়বগড় ।

বরফের পাহাড় ভেঙ্গে সমুদ্রে পড়ে

ভূমিকম্পে ঘর-দোর নড়ে-চড়ে ।

ভূগর্ভে জল নেই পর্যাপ্ত

গ্রীষ্মের রোদে প্রাণিকূল মর্মার্থ ।

ধোঁয়ায় ঘিরা পৃথিবী চারুধার

অঙ্কুরিত চারা দ্যাখে সৎকার ।

ইটের ইমারতে থাকবে এঃ সিঃ-তে

কাল তোমারও শিশু জন্মাবে ঘরেতে ।

সেই শিশু চাইবে শুতে রোদে

পৃথিবী গেলে থেমে চালানো কি সিধে !

আমি গাছ তোমাকে বলছি শোনও

আমাকে প্রিয় বলে তোমরা মানও ।

ছোট্ট গর্তে একটি চারা দাও পুঁতে

তুমি আর আমি বাঁচবো সাথে ।

(কবিতার গহিনের শাখা-প্রশাখায় বিচরণ অঙ্কন গুচ্ছাইতের। বিশিষ্ট ব্যক্তি ছাড়াও প্রায় সকল মাধ্যমে তার কবিতা রয়েছে। লিখে চলেছেন মনের দরজা খুলে। তার লেখার সবচেয়ে বড় গুণটি হচ্ছে, মানববন্দনা। সকল ধর্মের সমন্বয়ে যদি মানুষ হয়, তাহলে কবি মানববন্দনারই পক্ষে। মেদহীন লেখা। প্রতিটি লেখায়ই চেষ্টা চালিয়ে যান একটি স্পষ্ট চিত্র আঁকার। অঙ্কন বাবুর এই বিষয়টি মজবুত বলতে হয়। মানুষের প্রতি, সাহিত্যের গহিন অরণ্যে না হারালে যে এমন প্রত্যাশা করা যায় না। কবির কাছে আরও আরও —- প্রত্যাশা। )