ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিধি-নিষেধের জাঁতাকলে জামাইষষ্ঠী, শ্বশুরবাড়ি নয়, নিজের বাড়ি ফেরত পাঠালো বেসরসিক পুলিশ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১ ২৪৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে সরকারের তরফে কঠোর রকডাউনের ঘোষণার পর প্রশাসন বেশ নড়েচড়ে বসেছিলো। মুভমেন্ট পাস ছাড়া চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছিলো। তখন মানুষের মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিলো। কিন্তু ক’দিন যেতে না যেতেই ফের পুরানো চেহারায় ঢাকার জনপথ! উঠতি বয়সী যুবকরা মাস্ক ছাড়াই হাকাচ্ছে বাইক।

দোকানপাঠে মাস্কের বালাই নেই। একটা সময় যদি আলোচনায় আসে মাস্ক বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে ক্ষমতা দেওয়া হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। কিন্তু বিষয়টি তেমন এগুয়োনি।

অথচ পাজর ঘেষা পরশি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ‘লকডাউন মানে লকডাউন’। লকডাউনের সব কিছুই বন্ধ। লকডাউন মানলে এমনটিই হবার কথা। যে কারণে বেহাল পরিস্থিতির পশ্চিমবঙ্গে করোনার আক্রান্তর সংখ্যা কম শুরু করেছে।

এমন সময়েই দরজায় উপস্থিত জামাই ষষ্ঠী। কিন্তু জীবন আগে না জামাই ষষ্ঠি আগে? এমন পরিস্থিতি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন শ্বশুর বাড়ির পথে যাওয়া স্বামী-স্ত্রী ফিরিয়ে দিয়েছেন নিজ গৃহে। এ যে খুব একটা খারাপ করেছে পুলিশ, তা কিন্তু বাড়ি ফিরতি জামাইও বলেনি।

বরং তাদের মতো অনেকেই বর্তমান পরিস্থিতিতে সেজেগুজে মাস্কবিহীন অবস্থায় বাইকে করে স্ত্রী নিযে শ্বশুর বাড়ি পর্যন্ত পৌছাতে পারেনি।

রাস্তায় বাধ সাদে বেরসিক পুলিশ। অবশেষে বাড়ির পথে ফিরে আসতেই হলো অনেক জামাইদের।

পশ্চিমবঙ্গে চলছে লকডাউন। আর সেই বিধিনিষেধের জাঁতাকলে পড়ল এবার জামাই ষষ্ঠী। সকাল থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে লাগবে ই-পাস। কিন্তু ই-পাস না থাকায় বহু জামাইকে ধরতে হলো শ্বশুর বাড়ির বদলে নিজের বাড়ির পথ।

সাঁকরাইল, কেশওয়ারীসহ পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিললো এমনই চিত্র।

কেউ হেলমেট না পড়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ি। পুলিশ ধরতেই হেলমেট-মাক্স পড়ে শ্বশুর বাড়ি বদলে সোজাসুজি ধরতে হলো বাড়ির পথ। শ্বশুরবাড়ির ভালোমন্দ খাওয়া দাওয়া ফেলে ফিরে আসতে হলো বাড়িতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিধি-নিষেধের জাঁতাকলে জামাইষষ্ঠী, শ্বশুরবাড়ি নয়, নিজের বাড়ি ফেরত পাঠালো বেসরসিক পুলিশ

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে সরকারের তরফে কঠোর রকডাউনের ঘোষণার পর প্রশাসন বেশ নড়েচড়ে বসেছিলো। মুভমেন্ট পাস ছাড়া চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছিলো। তখন মানুষের মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিলো। কিন্তু ক’দিন যেতে না যেতেই ফের পুরানো চেহারায় ঢাকার জনপথ! উঠতি বয়সী যুবকরা মাস্ক ছাড়াই হাকাচ্ছে বাইক।

দোকানপাঠে মাস্কের বালাই নেই। একটা সময় যদি আলোচনায় আসে মাস্ক বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে ক্ষমতা দেওয়া হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। কিন্তু বিষয়টি তেমন এগুয়োনি।

অথচ পাজর ঘেষা পরশি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ‘লকডাউন মানে লকডাউন’। লকডাউনের সব কিছুই বন্ধ। লকডাউন মানলে এমনটিই হবার কথা। যে কারণে বেহাল পরিস্থিতির পশ্চিমবঙ্গে করোনার আক্রান্তর সংখ্যা কম শুরু করেছে।

এমন সময়েই দরজায় উপস্থিত জামাই ষষ্ঠী। কিন্তু জীবন আগে না জামাই ষষ্ঠি আগে? এমন পরিস্থিতি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন শ্বশুর বাড়ির পথে যাওয়া স্বামী-স্ত্রী ফিরিয়ে দিয়েছেন নিজ গৃহে। এ যে খুব একটা খারাপ করেছে পুলিশ, তা কিন্তু বাড়ি ফিরতি জামাইও বলেনি।

বরং তাদের মতো অনেকেই বর্তমান পরিস্থিতিতে সেজেগুজে মাস্কবিহীন অবস্থায় বাইকে করে স্ত্রী নিযে শ্বশুর বাড়ি পর্যন্ত পৌছাতে পারেনি।

রাস্তায় বাধ সাদে বেরসিক পুলিশ। অবশেষে বাড়ির পথে ফিরে আসতেই হলো অনেক জামাইদের।

পশ্চিমবঙ্গে চলছে লকডাউন। আর সেই বিধিনিষেধের জাঁতাকলে পড়ল এবার জামাই ষষ্ঠী। সকাল থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে লাগবে ই-পাস। কিন্তু ই-পাস না থাকায় বহু জামাইকে ধরতে হলো শ্বশুর বাড়ির বদলে নিজের বাড়ির পথ।

সাঁকরাইল, কেশওয়ারীসহ পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিললো এমনই চিত্র।

কেউ হেলমেট না পড়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ি। পুলিশ ধরতেই হেলমেট-মাক্স পড়ে শ্বশুর বাড়ি বদলে সোজাসুজি ধরতে হলো বাড়ির পথ। শ্বশুরবাড়ির ভালোমন্দ খাওয়া দাওয়া ফেলে ফিরে আসতে হলো বাড়িতে।