ছবি সংগ্রহ
লকডাউনে চট্টগ্রাম নগরীর প্রবেশপথ সিটি গেইটে সেনা সদস্যদের তৎপরতা : ফাইল ছবি
করোনার লাগামহীন সংক্রমন রুখতে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধের পথে হাটে বাংলাদেশ। মাঝে ঈদের জন্য ১৪ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করে ফের ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়।
এর সাত দিন পর রপ্তানিমুখি শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া হয়। এবারে ৫ দিন কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৫দিন বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তাতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল ছাড়াও শিল্প, কলকারখানা বিধিনিষেধের আওতা-বহির্ভূত রাখার কথা জানানো হয়। বিধিনিষেধের মেয়াদ মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত চলবে।
মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে করণীয় নির্ধারণে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের এক সভায় কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সচিবালয়ে সভা শেষে তিনি জানান, আগামী ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট ও অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হবে, সীমিত পরিসরে চলবে গণপরিবহনও। তবে এর আগেই সব কর্মজীবী মানুষকে করোনার টিকা গ্রহণ করতে হবে।
টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি জানান, ৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে ১৪ হাজার কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। ৭ থেকে ১০ আগস্ট, তিন দিনের মধ্যে ১ কোটি কর্মজীবী মানুষ টিকা পাবেন।
টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব দোকানদার, গণপরিবহনের চালক, সহকারী ও সুপারভাইজাররা অগ্রাধিকার পাবেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চের ৮ তারিখ করোনার প্রথম সংক্রমণ দেশে ধরা পড়ে। দ্বিতীয় ধাক্কায় চলতি বছরের জুন মাসে অবস্থা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছালে ১ জুলাই থেকে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার।
এ সময় গণপরিবহনের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে সরকারি বেসরকারি অফিস এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানও।