বাজেট বাস্তবায়নে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে : অর্থমন্ত্রী

- আপডেট সময় : ০৮:২৭:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে
করের হার কমানোয় রাজস্ব আদায় বাড়বে
রেওয়াজ অনুযায়ী জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের পরদিন সাংবাদিক বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী। স্বাভাবিক সময়ে এই আয়োজন হতো জাকজমকপূর্ণ। এই রীতি বাংলাদেশে অতি পুরানো। করোনাকালীন দু’বছর ধরে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে তা সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে যুক্ত হয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশে বিনিয়োগও বাড়বে। আর তাতে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। এতে অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।
এর আগে করোনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় বৃহস্পতিবার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে আয়োজনে যুক্ত ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে করের হার কমানোর ফলে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে কর ছাড়ের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যদি আমরা রেভিনিউয়ের হার আস্তে আস্তে কমাই, তাহলে আমাদের কালেকশন বাড়বে। আমরা যে কর কমালাম, আমরা বিশ্বাস করি ‘উই উইল বি উইনার’। করের হার কমানো হয়েছে, আশা করি আমাদের রেভিনিউ কালেকশন আরও বাড়বে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি যদি আমরা আইনটিকে সহজ করতে পারি, ট্যাক্স পেয়ারদের যদি এই কাজে সম্পৃক্ত করতে পারি, তাহলে রেভিনিউ জেনারেশন অনেক বৃদ্ধি পাবে। রেভিনিউ জেনারেশন বাড়াতে পৃথিবীর অনেক দেশ চেষ্টা করেছিল। এমনকি আমেরিকায়ও কোনো এক সময় ৭৫ শতাংশ ট্যাক্সের পরিমাণ ছিল, সেটা এখন নেই। বেশি করে ট্যাক্স আদায় করা যায় কিনা সেটি সবাই চেষ্টা করেছিল।
মাথাপিছু আয় নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ১০ মাসের অর্জনের ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক ধারণা দিয়েছে যে, আমাদের মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলার। আমাদের কিন্তু এখনও দুই মাস বাকি আছে। দুই মাস পড়ে এটা বলা যাবে মোট কত এলো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাথাপিছু জিডিপি আরও বেশি। আইএমএফের মতে, ২২৩৮ ডলার মাথাপিছু জিডিপি। জিডিপি ও জেএমআই এর মধ্যে পার্থক্য হলো—জেএমআইতে আমরা নেট ফ্যাক্টর ইনকাম যোগ করি। ফ্যাক্টর ইনকাম যোগ করলে জেএমআই আরও বেশি হবে। আমাদের কম দেখাচ্ছে কারণ আমাদের বছর শেষ হয়নি। বছর শেষ হলে প্রকৃত তথ্য জানতে পারবো।