ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঘের মুখ থেকে ছেলেকে কেড়ে আনলো বাবা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১ ২০১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাঘের কামড়ে গুরুতর জখম রবিউল : সংগ্রহ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

মাঝে মধ্যেই আচমকা এমন খবর আসে। তবে সরাসরি বাঘের মুখ থেকে ছেলে ছিনিয়ে আনার ঘটনা খুব কম। ভাওয়ালী ও মৎস্যজীবীরা সুন্দরবনে গিয়ে অনেকেই বাঘের মুখে পড়েছেন। কেউ বা দুর্ভাগ্যবশত বাঘের পেটে গিয়েছেন।

কিন্তু এবারে ঘটলো লোমহর্ষক ঘটনা। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরেন মৌয়াল রবিউল। বাবা রীতিমত ছেলেকে বাঘের মুখ থেকে কেড়ে এনেছেন। তবে বাঘের কামড়ে ও থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে ছেলের দেহ।

আক্রমণের শিকার ওই মৌয়ালের নাম রবিউল শেখ (২৫)। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর সোরা গ্রাম থেকে ১২ থেকে ১৩ জন মৌয়ালের একটি দল নৌকায় করে গিয়েছিলেন সুন্দরবনের গহিনে। সে দলেই ছিলেন রবিউল শেখ ও তার বাবা আব্দুল হাকিম শেখ (৫৫)।

মঙ্গলবার ঘটে আচমকা ঘটনা। এরপর আহত রবিউলকে সারারাত নৌকা বেয়ে ও পরে কোস্টগার্ডের স্পিডবোটে করে বুধবার সকালে চিকিৎসকের কাছে আনা হয়।

রবিউল শেখ বলেন, বাঘটা দেখলাম দৌড়ে আসছে আমার দিকে। বাঘ দেখে একটা গাছের আড়ালে গিয়েছি। বন্দুকের গুলির মতো একদিক থেকে এসে আমাকে ফেলে দিয়ে মুখ দিয়ে কামড়ে ধরেছে। আব্বা ছিল। আব্বা লাঠি দিয়ে বাড়ি মেরে ছাড়িয়ে এনেছে। বাঘ আমাকে সামনে থেকে আক্রমণ করেছে।

আব্দুল হাকিম শেখ বলেন, বাঘ আমার ছেলে রবিউলের ঘাড়সহ মাথায় দাঁত বসিয়ে দিয়েছে। এছাড়া পিঠ ও হাতে নখের আঁচড় দিয়ে মারাত্বকভাবে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। সুন্দরবন এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসকরা বাঘে ধরা রোগীর চিকিৎসা ভালো করেন। তাই বাড়িতে রেখেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পল্লী চিকিৎসক সোলায়মান ইসলাম বলেন, রবিউল ঘাড়, পিঠ, হাত ও মাথায় ক্ষতস্থানে বিশেষ চিকিৎসা দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এমএ হাসান বলেন, সুন্দরবনে বাঘের আত্রমণের দুটি পৃথক ঘটনায় দুইজন হতাহতের খবর লোকমুখে শুনেছি। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যদি তারা পাস নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাঘের মুখ থেকে ছেলেকে কেড়ে আনলো বাবা

আপডেট সময় : ১০:৪১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

বাঘের কামড়ে গুরুতর জখম রবিউল : সংগ্রহ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

মাঝে মধ্যেই আচমকা এমন খবর আসে। তবে সরাসরি বাঘের মুখ থেকে ছেলে ছিনিয়ে আনার ঘটনা খুব কম। ভাওয়ালী ও মৎস্যজীবীরা সুন্দরবনে গিয়ে অনেকেই বাঘের মুখে পড়েছেন। কেউ বা দুর্ভাগ্যবশত বাঘের পেটে গিয়েছেন।

কিন্তু এবারে ঘটলো লোমহর্ষক ঘটনা। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরেন মৌয়াল রবিউল। বাবা রীতিমত ছেলেকে বাঘের মুখ থেকে কেড়ে এনেছেন। তবে বাঘের কামড়ে ও থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে ছেলের দেহ।

আক্রমণের শিকার ওই মৌয়ালের নাম রবিউল শেখ (২৫)। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর সোরা গ্রাম থেকে ১২ থেকে ১৩ জন মৌয়ালের একটি দল নৌকায় করে গিয়েছিলেন সুন্দরবনের গহিনে। সে দলেই ছিলেন রবিউল শেখ ও তার বাবা আব্দুল হাকিম শেখ (৫৫)।

মঙ্গলবার ঘটে আচমকা ঘটনা। এরপর আহত রবিউলকে সারারাত নৌকা বেয়ে ও পরে কোস্টগার্ডের স্পিডবোটে করে বুধবার সকালে চিকিৎসকের কাছে আনা হয়।

রবিউল শেখ বলেন, বাঘটা দেখলাম দৌড়ে আসছে আমার দিকে। বাঘ দেখে একটা গাছের আড়ালে গিয়েছি। বন্দুকের গুলির মতো একদিক থেকে এসে আমাকে ফেলে দিয়ে মুখ দিয়ে কামড়ে ধরেছে। আব্বা ছিল। আব্বা লাঠি দিয়ে বাড়ি মেরে ছাড়িয়ে এনেছে। বাঘ আমাকে সামনে থেকে আক্রমণ করেছে।

আব্দুল হাকিম শেখ বলেন, বাঘ আমার ছেলে রবিউলের ঘাড়সহ মাথায় দাঁত বসিয়ে দিয়েছে। এছাড়া পিঠ ও হাতে নখের আঁচড় দিয়ে মারাত্বকভাবে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। সুন্দরবন এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসকরা বাঘে ধরা রোগীর চিকিৎসা ভালো করেন। তাই বাড়িতে রেখেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পল্লী চিকিৎসক সোলায়মান ইসলাম বলেন, রবিউল ঘাড়, পিঠ, হাত ও মাথায় ক্ষতস্থানে বিশেষ চিকিৎসা দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এমএ হাসান বলেন, সুন্দরবনে বাঘের আত্রমণের দুটি পৃথক ঘটনায় দুইজন হতাহতের খবর লোকমুখে শুনেছি। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যদি তারা পাস নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে থাকেন।