ঢাকা ০২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন নরেন্দ্র মোদি’র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের সুন্দর আয়োজনে সন্তোষ্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মনোমুগদ্ধকর আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন সরকার প্রধান। ১০ দিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশে এতো সুন্দর আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীকে দেওয়া এক পত্রে নরেন্দ্র মোদি বলেন, সফরকালে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনা ও মতবিনিময়ে তিনি আনন্দিত। অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

গত ২৬ মার্চ সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আয়োজনে অংশ নিতে দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসেন নরেন্দ্র মোদি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোদিকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা পৌঁছানোর পর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতার বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেওয়া ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাসে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকবে। এমন কোনো শক্তি নাই বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারে।

এরপর ২৭ মার্চ সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান তিনি। এদিন তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা-প্রার্থনা করেন। ওড়াকান্দিও হরিচাঁদ মন্দিরেও গিয়েছেন তিনি।

বিকেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। পরে যৌথভাবে দুই সরকার প্রধান ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি যাত্রীবাহী রেল চলাচলসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের। সফর শেষে ২৭ মার্চ রাতে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন নরেন্দ্র মোদি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন নরেন্দ্র মোদি’র

আপডেট সময় : ০৭:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের সুন্দর আয়োজনে সন্তোষ্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মনোমুগদ্ধকর আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন সরকার প্রধান। ১০ দিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশে এতো সুন্দর আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীকে দেওয়া এক পত্রে নরেন্দ্র মোদি বলেন, সফরকালে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনা ও মতবিনিময়ে তিনি আনন্দিত। অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

গত ২৬ মার্চ সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আয়োজনে অংশ নিতে দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসেন নরেন্দ্র মোদি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোদিকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা পৌঁছানোর পর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতার বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেওয়া ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাসে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকবে। এমন কোনো শক্তি নাই বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারে।

এরপর ২৭ মার্চ সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান তিনি। এদিন তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা-প্রার্থনা করেন। ওড়াকান্দিও হরিচাঁদ মন্দিরেও গিয়েছেন তিনি।

বিকেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। পরে যৌথভাবে দুই সরকার প্রধান ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি যাত্রীবাহী রেল চলাচলসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের। সফর শেষে ২৭ মার্চ রাতে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন নরেন্দ্র মোদি।