বাংলাদেশ সফর নিয়ে মোদির দুই টুইট
- আপডেট সময় : ১২:০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১ ২৪০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে মোদির এ সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দুটো টুইট করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে টুইটে মোদি লিখেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশীসুলভ ও অংশীদারিত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান। আমরা এটিকে আরো গভীরতর করতে ও সম্পর্কে বৈচিত্র্য আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন যাত্রা সমর্থন করি।’
তিনি লেখেন, ‘আমি আগামীকাল বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা করবো। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শ স্মরণ করার প্রত্যাশায় রয়েছি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর উদযাপনের পাশাপাশি আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই।’
তার এই টুইটে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির লিংকও ছিল। যেটি ভারতীয় প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে মোদি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবো। আমি আনন্দিত যে, করোনা মহামারির পর বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আমার প্রথম বিদেশ সফর, যাদের সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক, ভাষাগত সম্পর্ক বিদ্যমান।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উদযাপনে আমি আমার অংশগ্রহণের প্রত্যাশায় রয়েছি, যা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীও উদযাপন করবে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন গত শতাব্দীর অন্যতম দীর্ঘ নেতা, যার জীবন ও আদর্শ লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তার স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আমি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি দেখার অপেক্ষায় আছি।’
‘আমি পৌরাণিক ঐতিহ্যের ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে দেবী কালিকে প্রার্থনা করার অপেক্ষায় রয়েছি। বিশেষত ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার আলাপচারিতার প্রত্যাশায় আছি, যেখান থেকে শ্রী শ্রী হরিচন্দ্র ঠাকুর তার শুদ্ধ বাণী প্রচার করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিষয়ে আলোচনায় বসবো। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এছাড়াও আমি অন্যান্য বাংলাদেশি বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের অপেক্ষায় রয়েছি।’
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বরণ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও কিছু স্থাপনা সেজেছে বর্ণিল সাজে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পথে পথে বসানো হয়েছে তোরণ। সড়কের খুঁটি, ভবন ও দেয়ালে মোদির ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। সড়কের সৌন্দর্যবর্ধক ভাস্কর্যগুলোতেও ফুলের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে মোদির ছবি। বড় বড় করে বিভিন্ন জায়গায় লেখা হয়েছে, ‘স্বাগতম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চারটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশে সফর করেছেন। করোনার কারণে অনেক দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত না হয়ে পাঠিয়েছেন ভিডিও বার্তা।
১৭ থেকে ২৬ মার্চ ১০ দিনের অনুষ্ঠানে এর আগে বিদেশি নেতারা অংশ নিয়েছেন। শেষ দিন (২৬ মার্চ) অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দেশ, প্রতিবেশী, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কারণে দুই দেশের সম্পর্ক সুগভীর। ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কদরও একটু বেশি। তাই তাকে বরণে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ।