ঢাকা ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আরকান আর্মির হাতে আটক ২৬ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে জাতিসংঘের উদ্বেগ বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন পৃথিবীতে নজির সৃষ্টি করবে: গুতেরেস সংস্কার ছোট হলে ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে নির্বাচন জুনে, ড. ইউনূস রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই সংকটের একমাত্র সমাধান: গুতেরেস কানাডায় পালানো রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বিশ্বে প্রথমবারের মতো লাখো লোকের ইফতারে ড. ইউনূস ও গুতেরেস ১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেবেন ইউনূস ও গুতেরেস বোনকে ফ্ল্যাট হস্তান্তরে স্বাক্ষর জাল করেন টিউলিপ : দুদক এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িতে মিললো ৩৭ লাখ টাকা

বাংলাদেশ বিদ্যমান সহায়তা পরিষেবার মাধ্যমে অটিজম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে : সায়মা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১ ২৭৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ বলেছেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শক্তিশালী তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং বিস্তৃত কমিউনিটি-ভিত্তিক স্বাস্থ্য-সেবা অনেক অটিজম-শিশুর পরিবারকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, ‘অটিজমসহ অন্যান্য নিউরো-সংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত মানুষ যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে তা হ্রাসে বিগত সাত বছর বাংলাদেশে অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, দপ্তর এবং অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করছে।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অটিজম বিষয়ক ডব্লিউএইচও গুডউইল এম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২১ উপলক্ষে ‘কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে অটিজম: বৈশ্বিক সাড়াদান ও পুনরুদ্ধারে কিভাবে প্রযুক্তি সহায়তা করতে পারে’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সাইড ইভেন্টে বক্তৃতাদানকালে একথা বলেন।

জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কুয়েত, পোল্যান্ড, কাতার ও কোরিয়া স্থায়ী মিশন, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলী বিভাগ এবং অটিজম স্পিক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ইভেন্টটিতে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সায়মা ওয়াজেদ। ভার্চুয়ালভাবে আয়োজিত এই সভায় বক্তব্য প্রদানকালে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারবর্গের জন্য বিশেষ সহায়তা পদক্ষেপ গ্রহণ ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বাংলাদেশের উত্তম অনুশীলনগুলো তুলে ধরেন সায়মা।

তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই সব শিশুর পরিবারের সদস্যরা কিভাবে বিভিন্ন সামাজিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং বাংলাদেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য সরবরারে মাধ্যমে কিভাবে এক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে-তা তুলে ধরেন।

অতিমারিকালে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা বিঘিœত হওয়ার ফলে সারাবিশ্বে অটিজমের শিকার শিশুরা সামঞ্জস্যহীন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শক্তিশালী তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং বিস্তৃত কমিউনিটি-ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা অনেক পরিবারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে অটিজমের শিকার পরিবারবর্গ যে সব সামাজিক চ্যালেঞ্জ ও নিগ্রহের মুখোমুখি হয় তার উদাহরণ টেনে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে টেকসই ও ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন আনতে পেরেছে।
ইভেন্টটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ ও কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধিদ্বয়। অটিজম সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, প্রতিশ্রুতি এবং গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধিতা ও নিউরোডেভোলাপমেন্টাল ডিজঅর্ডারের শিকার ব্যক্তিবর্গের সুরক্ষায় বাংলাদেশে শক্তিশালী আইন ও বিধি প্রণয়ণ করা হয়েছে এবং বিভিন্নমূখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধিতা সহায়ক ই-সেবা, রেফারেল সেবা এবং দেশব্যাপী সহায়তা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ।’

অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় বিশেষ করে কোভিড অতিমারির এই সময়ে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই প্রযুক্তি-বিভাজন দূর করতে হবে, প্রযুক্তি হতে হবে সহজলভ্য এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে সকলেরই এতে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে।’

ইভেন্টটিতে সুনির্দিষ্ট ইস্যুসমূহ তুলে ধরেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলী বিভাগের পলিসি সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর সহকারি সেক্রেটারি-জেনারেল। সায়মা ওয়াজেদ ছাড়াও প্যানেল আলোচনা পর্বে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিষয় বিশেষজ্ঞগণ অংশ নেন।

অটিজমের শিকার ব্যক্তিবর্গসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন পেশার মানুষ ভার্চুয়ালি এই ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশ বিদ্যমান সহায়তা পরিষেবার মাধ্যমে অটিজম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে : সায়মা

আপডেট সময় : ০১:০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক 

অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ বলেছেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শক্তিশালী তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং বিস্তৃত কমিউনিটি-ভিত্তিক স্বাস্থ্য-সেবা অনেক অটিজম-শিশুর পরিবারকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, ‘অটিজমসহ অন্যান্য নিউরো-সংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত মানুষ যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে তা হ্রাসে বিগত সাত বছর বাংলাদেশে অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, দপ্তর এবং অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করছে।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অটিজম বিষয়ক ডব্লিউএইচও গুডউইল এম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২১ উপলক্ষে ‘কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে অটিজম: বৈশ্বিক সাড়াদান ও পুনরুদ্ধারে কিভাবে প্রযুক্তি সহায়তা করতে পারে’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সাইড ইভেন্টে বক্তৃতাদানকালে একথা বলেন।

জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কুয়েত, পোল্যান্ড, কাতার ও কোরিয়া স্থায়ী মিশন, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলী বিভাগ এবং অটিজম স্পিক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ইভেন্টটিতে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সায়মা ওয়াজেদ। ভার্চুয়ালভাবে আয়োজিত এই সভায় বক্তব্য প্রদানকালে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারবর্গের জন্য বিশেষ সহায়তা পদক্ষেপ গ্রহণ ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বাংলাদেশের উত্তম অনুশীলনগুলো তুলে ধরেন সায়মা।

তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই সব শিশুর পরিবারের সদস্যরা কিভাবে বিভিন্ন সামাজিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং বাংলাদেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য সরবরারে মাধ্যমে কিভাবে এক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে-তা তুলে ধরেন।

অতিমারিকালে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা বিঘিœত হওয়ার ফলে সারাবিশ্বে অটিজমের শিকার শিশুরা সামঞ্জস্যহীন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শক্তিশালী তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং বিস্তৃত কমিউনিটি-ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা অনেক পরিবারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে অটিজমের শিকার পরিবারবর্গ যে সব সামাজিক চ্যালেঞ্জ ও নিগ্রহের মুখোমুখি হয় তার উদাহরণ টেনে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে টেকসই ও ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন আনতে পেরেছে।
ইভেন্টটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ ও কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধিদ্বয়। অটিজম সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, প্রতিশ্রুতি এবং গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধিতা ও নিউরোডেভোলাপমেন্টাল ডিজঅর্ডারের শিকার ব্যক্তিবর্গের সুরক্ষায় বাংলাদেশে শক্তিশালী আইন ও বিধি প্রণয়ণ করা হয়েছে এবং বিভিন্নমূখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধিতা সহায়ক ই-সেবা, রেফারেল সেবা এবং দেশব্যাপী সহায়তা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ।’

অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় বিশেষ করে কোভিড অতিমারির এই সময়ে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই প্রযুক্তি-বিভাজন দূর করতে হবে, প্রযুক্তি হতে হবে সহজলভ্য এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে সকলেরই এতে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে।’

ইভেন্টটিতে সুনির্দিষ্ট ইস্যুসমূহ তুলে ধরেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলী বিভাগের পলিসি সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর সহকারি সেক্রেটারি-জেনারেল। সায়মা ওয়াজেদ ছাড়াও প্যানেল আলোচনা পর্বে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিষয় বিশেষজ্ঞগণ অংশ নেন।

অটিজমের শিকার ব্যক্তিবর্গসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন পেশার মানুষ ভার্চুয়ালি এই ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণ করেন।