বাংলাদেশ-দক্ষিণ সুদান খাদ্য, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, আইটি ও আইসিটি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
বিদেশমন্ত্র শুক্রবার সংবাদবার্তায় এসব তথ্য জানায়। তাতে হয়, বৃহস্পতিবার জুবায় বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার দক্ষিণ সুদানের সমকক্ষ বিয়াট্রিস ওয়ানি-নোয়াহর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বর্তমানে দক্ষিণ সুদান সফর করছেন। তিনি দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ মিশনে (ইউএনএমআইএসএস) বিভিন্ন বাহিনীতে মোতায়েন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
বৈঠকে উভয় মন্ত্রী দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে জোর দেন। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, স্বাধীনতা লাভের পরপরই বাংলাদেশ দক্ষিণ সুদানকে স্বীকৃতি দেয়।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ সুদান কৃষি, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণখাতে সহযোগিতা করতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানেরস্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনের জন্য সরকার সচেষ্ট। ড. মোমেন সুবিধাজনক সময়ে দক্ষিণ সুদানের বিদেশমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। মোমেন গত কয়েক দশক
ধরে বাংলাদেশে অর্জিত অসাধারণ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি এবং নারীর ক্ষমতায়নের সাফল্য সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। তিনি জাতিসংঘ মিশনে এবং অন্যান্য শান্তিরক্ষা অভিযানে
বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসনীয় ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।
দক্ষিণ সুদানের উপ-বিদেশমন্ত্রী দেং দাউ দেং এর আগে ড. মোমেনকে জুবা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দক্ষিণ সুদানের প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রীর সঙ্গে
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় যোগ দেন। বৈঠকে দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করেন।