ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান পেতে আবেদনের সময় বাড়ল, অনুদানের প্রস্তাব সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ব্রিটিশ কাউন্সিল স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড, চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার, যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের সুযোগ তাইওয়ানে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সঙ্গে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা ছদ্মবেশে ভারতে পালাতে গিয়ে আটক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার ডিম-মুরগির দাম বেঁধে দিল সরকার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৩ জনের চাকরি পূজোয় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে যা বললো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ থেকে নেপালে ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৭৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে নেপালে পণ্যপরিবহনে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালে সার রফতানিতে ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত। বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল সংযুক্তি) সংযোগ এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি এক বিরাট অগ্রগতি। সোমবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ থেকে নেপালে পণ্য রফতানি করা হয় এবং অন্যান্য দেশ থেকে নেপালের আমদানি করা পণ্যগুলো ভারতীয় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট হিসেবে পরিবহন করা হয়। নেপালের সঙ্গে রফতানি ও স্থল বাণিজ্যের জন্য ভারত বিশেষভাবে বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে আসছে।

রেলপথে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট মূলত দু’টি ভারত-বাংলাদেশ ক্রসিং পয়েন্ট, রহনপুর (বাংলাদেশ) সিঙ্গাবাদ (ভারত) এবং বিরল (বাংলাদেশ) রাধিকাপুর (ভারত) রেলপথ হয়ে পরিবহন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমদানি করা সার নেপালে পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রেলওয়ে নেপালে রফতানি করা সার বোঝাই প্রথম ট্রেনটি ভারতীয় রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করে। রেলওয়ে এই ট্রানজিট ব্যবহার করে প্রায় ২৭ হাজার মেট্রিক টন সার নেপালে রফতানি করা হবে। সূত্র জানায়, পরে নেপালে আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন সার রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে। এ পদক্ষেপগুলো আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

উল্লেখ্য, বৃহত্তর আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির জন্য ভারতের কাছে নতুন ৬টি রুটে ট্রানজিট সুবিধা চেয়েছে। এবং এর মধ্যে একাধিক রুটে ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত। ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি করেছে এবং নেপালের সঙ্গে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একই চুক্তি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই চুক্তিগুলো পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য ভারতের কাছে একাধিক রুটে ট্রানজিট সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে নেপালের সঙ্গে চারটি নতুন রুট এবং ভুটানের সঙ্গে দুটি নতুন রুটের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ।

বিদেশমন্ত্রকের সূত্রের খবর, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়ার জন্য পণ্য ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং একটি নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে নেপালের কাঁকড়াভিটা সীমান্তে যায়। বাংলাদেশ আরও তিনটি রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে। এছাড়া রেলপথে পণ্য পাঠানোর জন্যও তাদের অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ভুটানের বিষয়ে এখানে দুটি রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। যার মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত এবং আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত ব্যবহার করে ভুটানে পণ্য প্রেরণের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এই রাস্তাগুলো তৈরি করা আছে এবং নতুন করে কিছু তৈরি করার প্রয়োজন নেই। ভারত অনুমতি দিলে এখানে উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রেলপথ ব্যবহার করে নেপালে পণ্যপরিবহণে ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশ থেকে নেপালে ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত

আপডেট সময় : ১১:৩৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে নেপালে পণ্যপরিবহনে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালে সার রফতানিতে ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত। বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল সংযুক্তি) সংযোগ এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি এক বিরাট অগ্রগতি। সোমবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ থেকে নেপালে পণ্য রফতানি করা হয় এবং অন্যান্য দেশ থেকে নেপালের আমদানি করা পণ্যগুলো ভারতীয় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট হিসেবে পরিবহন করা হয়। নেপালের সঙ্গে রফতানি ও স্থল বাণিজ্যের জন্য ভারত বিশেষভাবে বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে আসছে।

রেলপথে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট মূলত দু’টি ভারত-বাংলাদেশ ক্রসিং পয়েন্ট, রহনপুর (বাংলাদেশ) সিঙ্গাবাদ (ভারত) এবং বিরল (বাংলাদেশ) রাধিকাপুর (ভারত) রেলপথ হয়ে পরিবহন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমদানি করা সার নেপালে পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রেলওয়ে নেপালে রফতানি করা সার বোঝাই প্রথম ট্রেনটি ভারতীয় রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করে। রেলওয়ে এই ট্রানজিট ব্যবহার করে প্রায় ২৭ হাজার মেট্রিক টন সার নেপালে রফতানি করা হবে। সূত্র জানায়, পরে নেপালে আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন সার রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে। এ পদক্ষেপগুলো আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

উল্লেখ্য, বৃহত্তর আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির জন্য ভারতের কাছে নতুন ৬টি রুটে ট্রানজিট সুবিধা চেয়েছে। এবং এর মধ্যে একাধিক রুটে ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত। ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি করেছে এবং নেপালের সঙ্গে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একই চুক্তি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই চুক্তিগুলো পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য ভারতের কাছে একাধিক রুটে ট্রানজিট সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে নেপালের সঙ্গে চারটি নতুন রুট এবং ভুটানের সঙ্গে দুটি নতুন রুটের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ।

বিদেশমন্ত্রকের সূত্রের খবর, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়ার জন্য পণ্য ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং একটি নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে নেপালের কাঁকড়াভিটা সীমান্তে যায়। বাংলাদেশ আরও তিনটি রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে। এছাড়া রেলপথে পণ্য পাঠানোর জন্যও তাদের অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ভুটানের বিষয়ে এখানে দুটি রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। যার মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত এবং আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত ব্যবহার করে ভুটানে পণ্য প্রেরণের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এই রাস্তাগুলো তৈরি করা আছে এবং নতুন করে কিছু তৈরি করার প্রয়োজন নেই। ভারত অনুমতি দিলে এখানে উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রেলপথ ব্যবহার করে নেপালে পণ্যপরিবহণে ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত।