ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে হাসপাতালে ভর্তির ৫দিনের মাথায় ৪৮ শতাংশ রোগী মারা যাচ্ছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষণা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১ ২২৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ঢাকা। আক্রান্ত কোন ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তির ৫দিনের মাথায় ৪৮ শতাংশ রোগীর মারা যাচ্ছেন। এমনই পিলে চমকানো তথ্য ওঠে এসেছে, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা (আইইডিসিআর) সংস্থার গবেষণায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেক শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে।

হাসপাতালগুলোর ওপর যে হারে চাপ চেড়ে চলেছে, তাতে চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছে আইইডিসিআর। করোনার বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা পর শনিবার রাতে সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব ওয়েবসাইটে এধরণের তথ্য প্রকাশ করে।

অপরদিকে করোনার প্রাদুর্ভাবের ৪০৭তম দিনে আরও ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিই সর্বোচ্চ মৃত্রুর রেকর্ড। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৮৫ জনে। এখনও পর্যন্ত একদিনে করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ার আগে শুক্র ও শনিবার ২০২ জন অর্থাৎ প্রতিদিন ১০১ জন করে মারা গিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তরফে রবিবার এতথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, ১৯ হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৯৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ। আর সর্বমোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর ১৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য পর্যালোচনা করে বলেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ৪৪ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় বড় অংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বাকি ৩৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর হাসপাতালে করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ রোগী ভর্তি হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে মারা গিয়েছেন।

৫ থেকে ১০ দিনের ভেতরে মারা গেছেন ১৬ শতাংশ। সংস্থার তথ্যে বলা হয়েছে, করোনা মহামারিতে গত মাসে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩৮জন। এপ্রিলে মৃত্যুর সংখ্যা ৩২ দশমিক ২ বেড়ে গিয়ে ১৫ দিনে মারা গিয়েছে ৯৪১জন। আইইডিসিআরের তথ্যে বলা হয়েছে, গত বছরের চেয়ে এবছর নারীদের মৃত্যু হারও ঊর্ধমুখি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশে হাসপাতালে ভর্তির ৫দিনের মাথায় ৪৮ শতাংশ রোগী মারা যাচ্ছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষণা

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ঢাকা। আক্রান্ত কোন ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তির ৫দিনের মাথায় ৪৮ শতাংশ রোগীর মারা যাচ্ছেন। এমনই পিলে চমকানো তথ্য ওঠে এসেছে, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা (আইইডিসিআর) সংস্থার গবেষণায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেক শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে।

হাসপাতালগুলোর ওপর যে হারে চাপ চেড়ে চলেছে, তাতে চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছে আইইডিসিআর। করোনার বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা পর শনিবার রাতে সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব ওয়েবসাইটে এধরণের তথ্য প্রকাশ করে।

অপরদিকে করোনার প্রাদুর্ভাবের ৪০৭তম দিনে আরও ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিই সর্বোচ্চ মৃত্রুর রেকর্ড। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৮৫ জনে। এখনও পর্যন্ত একদিনে করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ার আগে শুক্র ও শনিবার ২০২ জন অর্থাৎ প্রতিদিন ১০১ জন করে মারা গিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তরফে রবিবার এতথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, ১৯ হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৯৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ। আর সর্বমোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর ১৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য পর্যালোচনা করে বলেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ৪৪ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় বড় অংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বাকি ৩৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর হাসপাতালে করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ রোগী ভর্তি হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে মারা গিয়েছেন।

৫ থেকে ১০ দিনের ভেতরে মারা গেছেন ১৬ শতাংশ। সংস্থার তথ্যে বলা হয়েছে, করোনা মহামারিতে গত মাসে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩৮জন। এপ্রিলে মৃত্যুর সংখ্যা ৩২ দশমিক ২ বেড়ে গিয়ে ১৫ দিনে মারা গিয়েছে ৯৪১জন। আইইডিসিআরের তথ্যে বলা হয়েছে, গত বছরের চেয়ে এবছর নারীদের মৃত্যু হারও ঊর্ধমুখি।