বাংলাদেশে রেললাইন কেটে নাশকতা, ভয়ঙ্কর দূর্ঘটনায় নিহত ১
- আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
বিরোধী রাজনৈতিক দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালীন রেললাইন কেটে নেওয়ার মতো সব চেয়ে ভয়াবহ নাশকতার ঘটনা ঘটলো। তাতে এক যাত্রী নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। বুধবার ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা গাজীপুরের ভাওয়াল রেলস্টেশনের কাছাকছি জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রেললাইন কেটে নেওয়ায় ঢাকামুখো মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ৭টি বগি লাইনচ্যূত হয়েছে। বগিগুলো লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। তাতে ১জন নিহত ও অপর ১০ জন আহ হয়েছে।
একই দিন ভোরে খুলনার পাইকগাছার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নাশকতার আগুনে পুড়ে যায় আইনজীবীদের বসার স্থানসহ কাঠগড়ার কিছু অংশ।
এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, রাতের আঁধারে রেললাইন কেটে একটি গোষ্ঠী সরকার উৎখাতে নেমেছে। মানুষ পুড়িয়ে কোনো আন্দোলন হয় বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে বিভৎস ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি ঢাকায় ডাকা মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ ও জ্বালাও পোড়াও ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ২৯ অক্টোবর হরতালের ডাকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসলেও তাতে জনসমর্থন মিলছে না। বুধবার ঢাকার শাহবাগ ও পলাশি মোডে দুটো বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
হরতাল এবং দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচিতে বুধবার পর্যন্ত ২৭৪টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অগ্নিসংযোগকৃত যানবাহনের মধ্যে রয়েছে, বাস ১৭০টি, ট্রাক ৪৫টি, কাভার্ড ভ্যান ২৩টি, মোটরসাইকেল ৮টি ও অন্যান্য গাড়ি ২৮টি।
খুলনায় আদালত এজলাসে আগুনের ঘটনায় পুলিশের এক এএসআই ও কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার হয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, এজলাস কক্ষের ভাঙা জানালা দিয়ে এজলাসের ভেতরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনা ঘটে। এসব বেশ কয়েকটি মামলায় বিএনপির দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার হয়েছেন।