ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলার গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৬ বছর

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১০:৩১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় সেদিনের কথা। ৭২ সালে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। তারপরের ইতিহাস মনে করতে চায় না বাংলাদেশ। দেশটি এখন যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার ভিত খুবই মজবুত। মাথা পিছু আয় যে বেড়েছে তা কিন্তু নয়, গড় আয়ুও বেড়ে পৌছে গিয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছরে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে দেশ পরিচালনার হাল ধরায় এই ফলাফল। মূলত তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মাহাকাশ জয়ই নয়, জলের তলায় সাবমেরিনে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন শেখ হাসিনা। মুজিবর্ষে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের শ’ শ’ ঘর উপহার দিয়েছেন হাসিনা। বলেছেন, এজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না শেখ মুজিবুরের বাংলায়। এমন শক্ত কথা ক’জন রাষ্ট্রনায়ক বলতে পারেন?

৩ জুন বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট। বাজেট পেশের আগে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রীপরিষদ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওখানে তা অনুমোদনের পর সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।

বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২২৭ মার্কিন ডলারে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। আর মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর। বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বদলে যাওয়া এক দেশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা একটি স্বর্ণালী যুগ অতিক্রম করলাম, যা সারাবিশ্বে সমাদৃত বঙ্গবন্ধুর পরে অর্থনীতি ও উন্নয়ন, সমাজনীতি, সংস্কৃতি, আইনশৃখলা, পররাষ্ট্রনীতিসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।

গত ১২ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭ শতাংশের বেশি ছিল এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ শতাংশ অতিক্রম করে। মূল্যস্ফীতি ছিল সহনীয় পর্যায়ে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ওই সময়ে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ, বর্তমানে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। জিডিপির আকার ৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরে দশগুণের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ২০০৫-০৬ অর্থবছরের ৫৯ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর। শিশুমৃত্যু হার কমে প্রতি হাজারে ৮৪ থেকে ২৮ এবং মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩৭০ থেকে কমে ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলার গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৬ বছর

আপডেট সময় : ১০:৩১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় সেদিনের কথা। ৭২ সালে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। তারপরের ইতিহাস মনে করতে চায় না বাংলাদেশ। দেশটি এখন যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার ভিত খুবই মজবুত। মাথা পিছু আয় যে বেড়েছে তা কিন্তু নয়, গড় আয়ুও বেড়ে পৌছে গিয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছরে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে দেশ পরিচালনার হাল ধরায় এই ফলাফল। মূলত তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মাহাকাশ জয়ই নয়, জলের তলায় সাবমেরিনে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন শেখ হাসিনা। মুজিবর্ষে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের শ’ শ’ ঘর উপহার দিয়েছেন হাসিনা। বলেছেন, এজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না শেখ মুজিবুরের বাংলায়। এমন শক্ত কথা ক’জন রাষ্ট্রনায়ক বলতে পারেন?

৩ জুন বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট। বাজেট পেশের আগে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রীপরিষদ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওখানে তা অনুমোদনের পর সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।

বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২২৭ মার্কিন ডলারে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। আর মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর। বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বদলে যাওয়া এক দেশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা একটি স্বর্ণালী যুগ অতিক্রম করলাম, যা সারাবিশ্বে সমাদৃত বঙ্গবন্ধুর পরে অর্থনীতি ও উন্নয়ন, সমাজনীতি, সংস্কৃতি, আইনশৃখলা, পররাষ্ট্রনীতিসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।

গত ১২ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭ শতাংশের বেশি ছিল এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ শতাংশ অতিক্রম করে। মূল্যস্ফীতি ছিল সহনীয় পর্যায়ে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ওই সময়ে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ, বর্তমানে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। জিডিপির আকার ৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরে দশগুণের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ২০০৫-০৬ অর্থবছরের ৫৯ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর। শিশুমৃত্যু হার কমে প্রতি হাজারে ৮৪ থেকে ২৮ এবং মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩৭০ থেকে কমে ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।