ছবি সংগ্রহ
ব্রহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শনিরবার পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিদল। এদের মধ্যে নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছেন। এ ঘটনায় চালকসহ গ্রেফতার ৫
করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার চম্পকনগরের সেলিম মিয়া বিজয়নগর থানায় মামলাটি করেন।
ট্রলারডুবির ঘটনায় তার পরিবারের চার সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার চম্পকনগর থেকে প্রায় ৮০জন যাত্রী নিয়ে ব্রহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে লইস্কাবিল এলাকায় পৌছালে বালুবাহী ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর
যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। যাত্রীবাহী ট্রলারটি উল্টে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটেছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। এর আগে শুক্রবার রাতে ১৮ জনের মরদেহ
পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি উদ্ধারের পর জানা যাবে, কেউ আটকে আছে কিনা। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানটি উদ্ধারেও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত হচ্ছে, ট্রলারচালক সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলা বাড়ি গ্রামের জমির মিয়া (৩৩), একই গ্রামের মো. রাসেল (২২), খোকন মিয়া (২২), মো. সোলায়মান (৬৪) ও বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের কালারটেক গ্রামের মিস্টু মিয়া (৬৭)।