বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু
- আপডেট সময় : ১১:২৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১ ২০৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে যাওয়া দেশে পরিণত হয়েছে। এর ভিত্তি রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। রবিবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার পঞ্চম দিনের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। পঞ্চম দিনের আলোচনার প্রতিপাদ্য ছিল ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’। এ বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
আলোচনা পর্বে জর্ডানের বাদশার পক্ষে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের মহাফলকে অবিরাম যার নাম লেখা হয় তিনি বঙ্গবন্ধু। হাজার বছরের পূর্বপুরুষদের পরাজয়ের শোধ নিয়েছিলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশকে স্বাধীন করার পর নতুন সংগ্রাম শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশককে পুনর্গঠন করেন। দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়িয়েছেন। বুকজুড়ে ৫৪ হাজার বর্গমাইল ফুলে ফুলে শোভিত করতে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে তার কূটনৈতিক তৎপরতার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু ছুটেছেন দেশ থেকে দেশে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় ও বন্ধু তৈরিতে মনোনিবেশ করেন বঙ্গবন্ধু। তার কূটনৈতিক দক্ষতা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন আমাদের হৃদয়ে, হৃদয়ের স্পন্দনে। যতদিন এ বাংলায় চন্দ্র, সূর্য উদয় হবে, পাখির কলতান থাকবে, বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন তিনি বেঁচে থাকবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর সততা ও সাহসিকতা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। এ নীতি অনুসরণ করে শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
সোমবার ষষ্ঠ দিনের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে ছিল বন্ধু রাষ্ট্র চীনের সাংস্কৃতিক আয়োজন। আরও ছিল ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর: শূন্য থেকে মহাশূন্যে (কাব্য, সুর ও ছন্দে কোরিওগ্রাফি), বঙ্গবন্ধুর নবজীবনের ডাক: ধূসর বাংলা থেকে সবুজ বাংলা (পালা, জারি ও গম্ভীরা পরিবেশনা), বিশ্বনেতা ও বিশ্বনাগরিকের সঙ্গে মেলবন্ধন (মিউজিক কোরিওগ্রাফি), নারী জাগরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু (থিয়েট্রিক্যাল কোরিওগ্রাফি), শিশু বিকাশে বঙ্গবন্ধু: আলো আমার আলো (১০০ জন শিশু শিল্পীর পরিবেশনা), শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নবজাগরণ: শিল্পের সব বাহনের উৎকর্ষ সাধন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাটক: ২৮৮ দিন এবং আন্তর্জাতিক সংগীত ধারার সঙ্গে সমন্বয় রেখে ব্যান্ড সংগীতের জাগরণ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শেষ হবে।