ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি গ্রাম আইসিটি সেবা প্রযুক্তির ব্যবহারে সময়, অর্থ ও দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব : প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১ ২২০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

‘আমার গ্রাম, আমার শহর’, ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ ও ‘সমৃদ্ধি বাংলাদেশ’ তিনটি বাতিঘর হিসেবে কাজ করে চলেছে আইসিটি বিভাগ। এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেকটি গ্রামেই শহরের নাগরিক সেবা পৌঁছানো। তরুণদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং তরুণদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপরোক্ত মন্তব্য বরে বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহারে সময় সঞ্চয়, অর্থের ব্যয় এবং দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, প্রশাসনিকসহ সকল কার্যক্রমে প্রযুক্তিকে যতো বেশি ব্যবহার করা যাবে, ততো বেশি সময়, অর্থ ও দুর্নীতি কমিয়ে সেবার মান বৃদ্ধি করা যাবে।

তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইসিটি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে সবমিলিয়ে দেশে প্রায় ৮ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণরা যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই প্রযুক্তি শিক্ষা ও আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান ও বিশেষ করে প্রযুক্তি সক্ষম জাতি গড়ে তুলতে সারা দেশে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ৫৫৫টি ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। এছাড়াও ডেনমার্ক সরকারের সহায়তায় চর-বিল-হাওয়রাঞ্চলেও ডি-সেট স্থাপন করা হবে।

সোমবার ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং (ডি-সেট) সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে ‘আইসিটি প্রশিক্ষণ এবং অবকাঠামো স্থাপন’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় আইসিটি বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.বি.এম আরশাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম এবং প্রকল্প পরিচালক ফিরোজ সরকার।

প্রতিমন্ত্রী পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের ছিটমহলে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে ডি-সেট সেন্টারের উদ্বোধন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি গ্রাম আইসিটি সেবা প্রযুক্তির ব্যবহারে সময়, অর্থ ও দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব : প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:২৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

‘আমার গ্রাম, আমার শহর’, ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ ও ‘সমৃদ্ধি বাংলাদেশ’ তিনটি বাতিঘর হিসেবে কাজ করে চলেছে আইসিটি বিভাগ। এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেকটি গ্রামেই শহরের নাগরিক সেবা পৌঁছানো। তরুণদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং তরুণদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপরোক্ত মন্তব্য বরে বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহারে সময় সঞ্চয়, অর্থের ব্যয় এবং দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, প্রশাসনিকসহ সকল কার্যক্রমে প্রযুক্তিকে যতো বেশি ব্যবহার করা যাবে, ততো বেশি সময়, অর্থ ও দুর্নীতি কমিয়ে সেবার মান বৃদ্ধি করা যাবে।

তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইসিটি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে সবমিলিয়ে দেশে প্রায় ৮ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণরা যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই প্রযুক্তি শিক্ষা ও আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান ও বিশেষ করে প্রযুক্তি সক্ষম জাতি গড়ে তুলতে সারা দেশে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ৫৫৫টি ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। এছাড়াও ডেনমার্ক সরকারের সহায়তায় চর-বিল-হাওয়রাঞ্চলেও ডি-সেট স্থাপন করা হবে।

সোমবার ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং (ডি-সেট) সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে ‘আইসিটি প্রশিক্ষণ এবং অবকাঠামো স্থাপন’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় আইসিটি বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.বি.এম আরশাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম এবং প্রকল্প পরিচালক ফিরোজ সরকার।

প্রতিমন্ত্রী পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের ছিটমহলে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে ডি-সেট সেন্টারের উদ্বোধন করেন।