বাংলাদেশের তরুণরা উজ্জ্বল ভবিষ্যত রচনা করছে : ভারতীয় হাইকমিমনার বিক্রম দোরাইস্বাম
- আপডেট সময় : ০১:৩৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ ৪৮৩ বার পড়া হয়েছে
আমিনুল হক : ঢাকা
বাংলাদেশের উদ্যমী তরুণরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত রচনা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি ভারত-বাংলাদেশের অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ করতে তরুণদের সমর্থন কামনা করেন। রবিবার আগারগাঁও অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শনকালে একথা বলেন ভারতীয় এই কূটনীতিক। বিক্রম দোরাইস্বামী বিষাদময় ও গৌরবমণ্ডিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শনকালে শিখা চিরন্তনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোসর্গকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
পরিদর্শন কালে জাদুঘরে থাকা তরুণদের বলেন, ৬ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকলীন সময়ে ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রদর্শনীতে তরুণ, নারী, পুরুষ, শিশু ও সাধারণ মানুষের সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যাদের সংগ্রামে জন্ম হয়েছিল একটি নতুন দেশ। যার নাম বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে সাধারণ মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিলো পাক হানাদার বাহিনী। তাদের অত্যাচার ও বর্বরতা বিশ্বে একটি কলঙ্কময় অধ্যায়ের রচনা করেছে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ঘটনা। সে সময় বাংলার মানুষ তাদের সহায়সম্বল ফেলে বন্ধু দেশ ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। ভারত এককোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে। সর্বোপরি বাঙালি তরুণ-যুবাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ভা তের সেনারা আত্মোসর্গ করেছেন। ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রক্তের ঋণ’ যা বাঙালি কৃতজ্ঞ চিত্তে আজীবন স্মরণ করবে।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ সেগুনবাগিচার একটি ভাড়া বাড়িতে মুক্তিজুদ্ধ জাদুঘরের যাত্রা হয়। আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে ইতিহাসের স্মারক সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপনের এই প্রয়াস শুরু থেকেই মানুষের সমর্থন ও সহায়তায় ধন্য হয়েছে। পরবর্তীতে আগারগাঁওয়ে সরকার জমির ব্যবস্থা দিলে সেখানে বড় আকারের বর্তমান জাদুঘরের সংগ্রহভাণ্ডারে জমা হয়েছে ১৫,০০০-এরও বেশি স্মারক।
মানুষের জন্য ফাউণ্ডেশন’র সহযোগিতায় ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিরপুরে মুসলিম বাজার ও জল্লাদখানা বধ্যভূমি খননের কাজ সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিপীঠ নির্মাণ করা হয়। ২০১১ সালের ৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়তলা ভবন নির্মাণ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন।