বাংলাদেশের গণহত্যা স্বীকৃতি আদায়ে সংগ্রাম করবেন বিশ্বের বিশিষ্টজনেরা
- আপডেট সময় : ০৫:০১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের গণহত্যা স্বীকৃতি আদায়ে সংগ্রাম করবেন বিশ্বের বিশিষ্টজনেরা। বাংলাদেশের গণহত্যা (জেনোসাইড) স্বীকৃতির জন্য সংগ্রাম করার কথা জানালেন বিশ্বের বিশিষ্টজনেরা। জাতীয় গণহত্যা স্মরণ দিবস উপলক্ষ্যে রোববার ভার্চুয়াল আয়োজনে এসব কথা বলেন বিশ্বের বিশিষ্টজনেরা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংগঠক মুক্ত আসর ও বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড এটির আয়োজন করে। ওয়েবিনারের বিষয় ছিল আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের জেনোসাইডকে স্বীকৃতি দেওয়া।
আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ বব ল্যান্সিয়া বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের জেনোসাইড ছিল একটি ধ্বংস হত্যাকাণ্ড। এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাব।
ভার্চুয়াল এই আয়োজনে সুইজারল্যান্ডের ইন্টারফেইথ ইন্টারন্যাশনাল সেক্রেটারি বিরো দিওয়ারা বলেন, বাংলাদেশের জেনোসাইডের ২৫ মার্চ দিনটি পৃথিবীর ইতিহাসে কালো অধ্যায়। জেনেভা মানবাধিকারের কেন্দ্রে আমরা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের সম্মেলনে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারি।
রুয়ান্ডায় জেনোসাইডটি যেভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের জেনোসাইডকে স্বীকৃতি দেওয়া খুবই জরুরি। আমরা কখনোই একাত্তরের নির্যাতিতদের ভুলতে পারি না।
ফ্রান্সের আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন মিচট বলেন, ‘আমরা ওয়েবিনারে এসেছি কারণ বাংলাদেশ জেনোসাইডকে এখনও আন্তর্জাতিক স্বীকৃত দেওয়া হয়নি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের জেনোসাইডের স্বীকৃতির জন্য প্রচারের কাজ করব।
বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিশ্বের লোমহর্ষক গণহত্যাগুলো মধ্যে বাংলাদেশের গণহত্যা অন্যতম। ৫৩ বছরও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি মেলেনি। ওয়েবিনার মাধ্যমে বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে বৈশ্বিকভাবে তুলে ধরা। সেই সঙ্গে আমরা জেনোসাইড ৭১ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করতে যাচ্ছি। সেখানে বিভিন্ন ভাষায় বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে নানা তথ্য, সাক্ষাৎকার, প্রতিবেদন, ছবি, ভিডিও প্রকাশ করা হবে।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আইসিটি মহাপরিচালক সৈয়দ মুনতাসির মামুন। আলোচনায় যুক্ত হন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ বব ল্যান্সিয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ কে এম শাহনাওয়াজ, ফ্রান্সের আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন মিচট, সুইজারল্যান্ডের ইন্টারফেইথ ইন্টারন্যাশনাল সেক্রেটারি বিরো দিওয়ারা, যুক্তরাজ্যের ইউরোপ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ক্রিস্টোফার ব্ল্যাকবার্ন এবং মুক্ত আসরের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবু সাঈদ।