ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত-সাবেক রাষ্ট্রদূত হাক্কানী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১ ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

তদানীন্তন পাকিস্তানে ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কথা উল্লেখ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্কলার এবং ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর প্রতিক্রিয়া এবং বাঙালির ওপর গণহত্যা সংঘটন চলেছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত সকল নৃশংসতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য পাকিস্তান সরকারের ওপর পাকিস্তানের জনগণের চাপ প্রয়োগ করা উচিত। ক্ষমা প্রার্থনা হবে সবচেয়ে সৌজন্যমূলক বিষয়। ’ ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ২৯ মার্চ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাদপ্রতিম (আইকনিক) নেতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহর সঞ্চালনায় এ ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির শীর্ষস্থানীয় থিংকট্যাংক ‘হাডসন ইনস্টিটিউট’র জ্যেষ্ঠ ফেলো এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার পরিচালক রাষ্ট্রদূত হাক্কানী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বিশ্বের ইতিহাসের এক মহান নেতা এবং বিশ্বজুড়ে ২০ শতকের স্বাধীনতা সংগ্রামীর একজন প্রবাদপ্রতিম নেতা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থান মহাত্মা গান্ধী এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মতো মহান নেতাদের কাতারে। আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত হাক্কানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধারাবাহিক সংগ্রামকে পাঁচটি স্বতন্ত্র পর্যায়ে ভাগ করেন- ১. ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে তরুণ শেখ মুজিবের সংগ্রাম; ২. ১৯৪৭-এর পরে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন এবং ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ‘যুক্তফ্রন্ট’-এর বিজয়; ৩. ‘যুক্তফ্রন্ট’ সরকার ভেঙে দেওয়ার পর ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের জন্য বঙ্গবন্ধুর অব্যাহত সংগ্রাম; ৪. পাকিস্তানি শাসক কর্তৃক সামরিক আইন জারি এবং ১৯৫৮ সালে সেনাপ্রধান আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখল; ৫. একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত গণহত্যা শুরুর অব্যবহিত পরেই ২৬ মার্চ ১৯৭১-এর প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং এরই মধ্যে প্রদত্ত তাঁর নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি বলেন, বাঙালির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সুদীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দেন এবং বাঙালি জাতির মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা ও বোধ জাগ্রত করেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সব নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল এবং আর্থ-সামাজিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সফল একটি দেশ। ’ আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আশা করা হয়েছিল যে, পাকিস্তান একাত্তরে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর চালানো জঘন্যতম গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইবে।

তিনি বলেন, যদিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে একটি অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন, তবে দুঃখজনকভাবে তিনি ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি নর-নারীর ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাননি। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত শান্তিকামী একজন নেতা এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি সর্বদা শান্তিপূর্ণ পন্থায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজও বিশ্বব্যাপী প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রতিবছর ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করে, যা সব সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত হয়। রাষ্ট্রদূত সালেহ Ÿলেন, ২০২১ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় বছর, কারণ এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রদূত হাক্কানীর বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বুদ্ধিজীবী ও গবেষকগণকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত-সাবেক রাষ্ট্রদূত হাক্কানী

আপডেট সময় : ১১:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

তদানীন্তন পাকিস্তানে ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কথা উল্লেখ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্কলার এবং ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর প্রতিক্রিয়া এবং বাঙালির ওপর গণহত্যা সংঘটন চলেছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত সকল নৃশংসতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য পাকিস্তান সরকারের ওপর পাকিস্তানের জনগণের চাপ প্রয়োগ করা উচিত। ক্ষমা প্রার্থনা হবে সবচেয়ে সৌজন্যমূলক বিষয়। ’ ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ২৯ মার্চ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাদপ্রতিম (আইকনিক) নেতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহর সঞ্চালনায় এ ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির শীর্ষস্থানীয় থিংকট্যাংক ‘হাডসন ইনস্টিটিউট’র জ্যেষ্ঠ ফেলো এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার পরিচালক রাষ্ট্রদূত হাক্কানী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বিশ্বের ইতিহাসের এক মহান নেতা এবং বিশ্বজুড়ে ২০ শতকের স্বাধীনতা সংগ্রামীর একজন প্রবাদপ্রতিম নেতা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থান মহাত্মা গান্ধী এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মতো মহান নেতাদের কাতারে। আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত হাক্কানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধারাবাহিক সংগ্রামকে পাঁচটি স্বতন্ত্র পর্যায়ে ভাগ করেন- ১. ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে তরুণ শেখ মুজিবের সংগ্রাম; ২. ১৯৪৭-এর পরে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন এবং ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ‘যুক্তফ্রন্ট’-এর বিজয়; ৩. ‘যুক্তফ্রন্ট’ সরকার ভেঙে দেওয়ার পর ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের জন্য বঙ্গবন্ধুর অব্যাহত সংগ্রাম; ৪. পাকিস্তানি শাসক কর্তৃক সামরিক আইন জারি এবং ১৯৫৮ সালে সেনাপ্রধান আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখল; ৫. একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত গণহত্যা শুরুর অব্যবহিত পরেই ২৬ মার্চ ১৯৭১-এর প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং এরই মধ্যে প্রদত্ত তাঁর নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি বলেন, বাঙালির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সুদীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দেন এবং বাঙালি জাতির মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা ও বোধ জাগ্রত করেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সব নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল এবং আর্থ-সামাজিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সফল একটি দেশ। ’ আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আশা করা হয়েছিল যে, পাকিস্তান একাত্তরে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর চালানো জঘন্যতম গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইবে।

তিনি বলেন, যদিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে একটি অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন, তবে দুঃখজনকভাবে তিনি ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি নর-নারীর ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাননি। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত শান্তিকামী একজন নেতা এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি সর্বদা শান্তিপূর্ণ পন্থায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজও বিশ্বব্যাপী প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রতিবছর ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করে, যা সব সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত হয়। রাষ্ট্রদূত সালেহ Ÿলেন, ২০২১ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় বছর, কারণ এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রদূত হাক্কানীর বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বুদ্ধিজীবী ও গবেষকগণকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।