ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহায়তা লাগতে পারে পাকিস্তানের

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১ ২৩০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তান এখন ভিক্ষার থালা হাতে দুনিয়া ঘুরে বেড়িয়েছে এবং বেড়াচ্ছে। দেশটি এখন ডুবে আছে ঋণ আর রক্তস্বল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চক্রে।

২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি পাকিস্তানের দ্বিগুণ হয়েছে। অথচ ২০ বছর আগে এমনটা অচিন্তনীয় ছিল। যে গতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বড় অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ।

আর তখন বাংলাদেশের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নিতে হতে পারে পাকিস্তানকে। কারণ পাকিস্তানের অর্থনীতির এমনি দুরবস্থা চলতে থাকলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চাওয়াটা অসম্ভব বিষয় হবে না।

বিশ্বব্যাংকের পাকিস্তান প্রোগ্রামের সাবেক উপদেষ্টা আবিদ হাসান এমন মন্তব্য করেছেন, পাকিস্তানেরই একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে।

তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারসহ পাকিস্তানের প্রতিটি সরকার ভিক্ষার থালা হাতে দুনিয়া ঘুরে বেড়িয়েছে এবং বেড়াচ্ছে। আমরা এখন ডুবে আছি ঋণ আর রক্তস্বল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চক্রে। এই অবস্থা তত দিন পর্যন্ত চলবে, যত দিন না কোনো সরকার অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য কোনো আমূল সংস্কার হাতে নেয়।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতি তার নিজের দোষেই হয়েছে। অথচ পাকিস্তানের নেতারা স্বচ্ছন্দে এজন্য আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে দোষারোপ করে যাচ্ছে।

এটি পাকিস্তানের জাতীয় অহংবোধে আঘাত হানবে, তার পরও বলতে হয়, পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও ঋণের বোঝা হ্রাসের একমাত্র উপায় হচ্ছে বাংলাদেশকে অনুকরণ করা। বুদ্ধিদীপ্ত অর্থনৈতিক ও মুদ্রাবিষয়ক নীতি অনুসরণ ব্যতীত উন্নতির অন্য কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহায়তা লাগতে পারে পাকিস্তানের

আপডেট সময় : ১০:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

পাকিস্তান এখন ভিক্ষার থালা হাতে দুনিয়া ঘুরে বেড়িয়েছে এবং বেড়াচ্ছে। দেশটি এখন ডুবে আছে ঋণ আর রক্তস্বল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চক্রে।

২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি পাকিস্তানের দ্বিগুণ হয়েছে। অথচ ২০ বছর আগে এমনটা অচিন্তনীয় ছিল। যে গতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বড় অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ।

আর তখন বাংলাদেশের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নিতে হতে পারে পাকিস্তানকে। কারণ পাকিস্তানের অর্থনীতির এমনি দুরবস্থা চলতে থাকলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চাওয়াটা অসম্ভব বিষয় হবে না।

বিশ্বব্যাংকের পাকিস্তান প্রোগ্রামের সাবেক উপদেষ্টা আবিদ হাসান এমন মন্তব্য করেছেন, পাকিস্তানেরই একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে।

তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারসহ পাকিস্তানের প্রতিটি সরকার ভিক্ষার থালা হাতে দুনিয়া ঘুরে বেড়িয়েছে এবং বেড়াচ্ছে। আমরা এখন ডুবে আছি ঋণ আর রক্তস্বল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চক্রে। এই অবস্থা তত দিন পর্যন্ত চলবে, যত দিন না কোনো সরকার অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য কোনো আমূল সংস্কার হাতে নেয়।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতি তার নিজের দোষেই হয়েছে। অথচ পাকিস্তানের নেতারা স্বচ্ছন্দে এজন্য আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে দোষারোপ করে যাচ্ছে।

এটি পাকিস্তানের জাতীয় অহংবোধে আঘাত হানবে, তার পরও বলতে হয়, পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও ঋণের বোঝা হ্রাসের একমাত্র উপায় হচ্ছে বাংলাদেশকে অনুকরণ করা। বুদ্ধিদীপ্ত অর্থনৈতিক ও মুদ্রাবিষয়ক নীতি অনুসরণ ব্যতীত উন্নতির অন্য কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই।