ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে ১০টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন উপহার দিল ভারত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০ ৫১১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
বাংলাদেশকে ১০টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন উপহার দিয়েছে ভারত। গত বছর আগস্ট মাসে সরকারিভাবে ভারত সফরের সময় উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে লোকোমোটিভ সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া, একই বছরের অক্টোবরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যৌথ বিবৃতির আলোকে ভারতীয় রেলওয়ে বাংলাদেশ রেলওয়েকে ১০টি লোকোমোটিভ অনুদান হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফর করেন। সে সময় ইঞ্জিন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি কারিগরি টিমও ভারত সফর করেন এবং ইঞ্জিনগুলোর কারিগরি দিক খতিয়ে দেখেন। সোমবার দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এগুলো হস্তান্তর করা হয়। রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি এবং বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এতে অংশ নেন। ভারতের পক্ষে অংশ নেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, ভারতীয় রেল, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়রে মন্ত্রী পীযুষ গায়েল।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে পাশের থাকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রেলইঞ্জিনগুলো হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে তা আরও প্রকাশ্যে আসলো। ড. মোমেন ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় রয়েছে। এরই মধ্যে রেলপথ ব্যবহার করে কনটেইনার সার্ভিস শুরু হয়েছে। জলপথেও বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, যাত্রীবাহী ট্রেনের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে নতুন কিছু কোচ আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত থেকে লোকোমোটিভ আনার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হয়।
টেকনিক্যাল বিষয়ে শর্তাবলীসহ (রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা) অন্যান্য বিষয়ে উভয় দেশের রেল কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে নির্ধারণের পর হস্তান্তরের দিন ঠিক করা হয়। এটি বাংলাদেশের দর্শনা এবং ভারতের গেদে পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এ লোকোমোটিভগুলো পেয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন চাহিদা কিছুটা কমবে এবং পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে অধিক সংখ্যক যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এ সময় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রক সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, রেলপথ মন্ত্রকের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শাসমুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশকে ১০টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন উপহার দিল ভারত

আপডেট সময় : ০২:২৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
বাংলাদেশকে ১০টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন উপহার দিয়েছে ভারত। গত বছর আগস্ট মাসে সরকারিভাবে ভারত সফরের সময় উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে লোকোমোটিভ সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া, একই বছরের অক্টোবরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যৌথ বিবৃতির আলোকে ভারতীয় রেলওয়ে বাংলাদেশ রেলওয়েকে ১০টি লোকোমোটিভ অনুদান হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফর করেন। সে সময় ইঞ্জিন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি কারিগরি টিমও ভারত সফর করেন এবং ইঞ্জিনগুলোর কারিগরি দিক খতিয়ে দেখেন। সোমবার দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এগুলো হস্তান্তর করা হয়। রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি এবং বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এতে অংশ নেন। ভারতের পক্ষে অংশ নেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, ভারতীয় রেল, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়রে মন্ত্রী পীযুষ গায়েল।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে পাশের থাকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রেলইঞ্জিনগুলো হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে তা আরও প্রকাশ্যে আসলো। ড. মোমেন ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় রয়েছে। এরই মধ্যে রেলপথ ব্যবহার করে কনটেইনার সার্ভিস শুরু হয়েছে। জলপথেও বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, যাত্রীবাহী ট্রেনের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে নতুন কিছু কোচ আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত থেকে লোকোমোটিভ আনার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হয়।
টেকনিক্যাল বিষয়ে শর্তাবলীসহ (রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা) অন্যান্য বিষয়ে উভয় দেশের রেল কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে নির্ধারণের পর হস্তান্তরের দিন ঠিক করা হয়। এটি বাংলাদেশের দর্শনা এবং ভারতের গেদে পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এ লোকোমোটিভগুলো পেয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন চাহিদা কিছুটা কমবে এবং পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে অধিক সংখ্যক যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এ সময় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রক সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, রেলপথ মন্ত্রকের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শাসমুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।