নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
চীনের দেওয়া উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ করোনার টিকা আগামী ১০ মে’র আসার কথা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার সাংবাদিকদের একথা জানান। এসময় তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্ধ থাকা সীমান্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উন্মুক্ত হচ্ছে না।
অপর দিকে এবারের ঈদে বন্ধ থাকছে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। কারখানায় ছুটি মাত্র তিনদিন। চলমান বিধিনিষেধ বলবৎ থাকছে ১৬ মে পর্যন্ত। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত আসলো। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, চলমান বিধিনিষেধ বলবৎ থাকা অবস্থায় ৬ মে থেকে রাজধানীসহ অন্যান্য শহরের মধ্যে গণপরিবহন চলাচল সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
করোনাকালীন বাংলাদেশ পৃথিবীর যেখানেই টিকা মিলবে, সেখান থেকেই তা সংগ্রহ করবে। শপিং মল ও দোকানপাটে কেনাবেচাকালীন সময়ে প্রত্যেককে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে কোন রকমের অবহেলা বা মাস্ক ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে সেই মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এবারে ঈদে লঞ্চ, ট্রেন এবং দূরপাল্লার কোন গণপরিবহন চলবে না। জেলাগুলোয় পরিবহন চলানো যাবে। এমন প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে যাতে করে অ্যাস্ট্র্যাজেনেকা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া যায় সেই চেষ্টাও করছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে যা যা করণীয় তার সবটাই প্রয়োগ করা হবে। উৎসব নয়, সবার আগে মানুষের জীবন। মানুষ বেচে থাকলে উৎসব পালন করা সম্ভব হবে।