ছবি সংগ্রহ
“৭৫ এর পর বঙ্গবন্ধু নামটা মুছে ফেলা হয়েছিলো। প্রচার করা হতো বিকৃত ইতিহাস। জয় বাংলা স্লোগানও নিষিদ্ধ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ নিষিদ্ধ করা হয়। ভাবখানা এমন ছিল যে, দেশ স্বাধীন হয়নি। আজকে আর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছা যাবে না। স্বাধীনতার ইতিহাস মুছা যাবে না।’ জিয়া সেক্টর কমান্ডার কিন্তু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর নজির নেই, শেখ হাসিনা”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় শক্তির মূল উৎস জিয়াউর রহমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জিয়াউর রহমানকে সামান্য মেজর থেকে জেনারেল করেছিলেন। সেই জিয়াই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
মঙ্গলবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের শোক দিবসের আলোচনায় যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার করা হয়েছিল। কিন্তু সে কখনো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে, এরকম কোনো নজির নেই।
‘মেধাবী ছাত্রদের অস্ত্র, মাদক ও অর্থ তুলে দিয়ে তাদের বিপথে নিয়ে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান
উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে হুমকি দিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে মোকবিলা করতে তার ছাত্রদলই যথেষ্ট। তিনিও ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘৭৫ এর পর বঙ্গবন্ধু নামটা মুছে ফেলা হয়েছিলো। প্রচার করা হতো বিকৃত ইতিহাস। জয় বাংলা স্লোগানও নিষিদ্ধ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ নিষিদ্ধ করা হয়।
ভাবখানা এমন ছিল যে, দেশ স্বাধীন হয়নি। আজকে আর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছা যাবে না। স্বাধীনতার ইতিহাস মুছা যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারি বিদেশি শক্তির মদদে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত এখনও অব্যাহত। এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকার ডাক দেশ শেখ হাসিনা।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, এখনও যুদ্ধাপরাধী, পরাজিত শক্তি এবং ১৫ আগস্টের খুনী, ফাঁসি যাদের হয়েছে, তাদের ছেলে-পেলে, যুদ্ধাপরাধীদের দোসর এবং বংশধর তারা কিন্তু বাংলাদেশে
বিরুদ্ধে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যে আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল তাদের কিছু কিছু এদের মদদ দিয়ে থাকে। কাজেই এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে।