বঙ্গবন্ধুর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ স্মরণে ডাকটিকেট অবমুক্ত
- আপডেট সময় : ০৩:০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ ২৬৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস রিপোর্ট
একটি অবিস্মরণীয় দিনকে সাধারণের সামনে তুলে আনা হলো স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশের মাধ্যমে। এই ঐতিহাসিক উদ্যোগ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকের। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১২ জানুয়ারি চিরস্মরণীয় একটি দিন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দু’দিন পর ১৯৭২ সালের এইদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দিবসটি স্মরণে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড প্রকাশ কিরে ঐতিহাসিক দিনটির ফের মনে করিয়ে দিল।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এদিন তাঁর দপ্তরে এ বিষয়ে ১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট ও ১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটাকার্ড উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ক একটি সীলমোহর ব্যবহার করেন। তিনি দিবসটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে বিবৃতি দিয়েছেন।
মন্ত্রীর দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু পা রাখেন এবং তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। স্বাধীন স্বদেশে ফিরে তিনি সেই স্থানেই ফের বাঙালি জাতিকে শুনিয়েছিলেন আশার বাণী। বলেছিলেন, তোমাদের কাছে আমি ঋণি। সোনার বাংলা গড়ে বাঙালি জাতির ঋণ শোধ করার কথাও উচ্চারণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিনের প্রায় ১৭ মিনিটের ভাষণকে বাঙালী জাতির জন্য ঐতিহাসিক দিক নির্দেশনামূলক দলিল বলে উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের আদর্শগত ভিত্তি কী হবে, রাষ্ট্র কাঠামো কী ধরণের হবে, পাকিস্তানি বাহিনীর সংগে যারা দালালী করেছে তাদের কী হবে, বাংলাদেশকে বহির্বিশ্ব স্বীকৃতি দেয়ার জন্য অনুরোধ, মুক্তিবাহিনী, ছাত্র সমাজ, কৃষক, শ্রমিকদের কাজ কী হবে এসব বিষয়সহ সদ্যজাত বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার সার্বিক দিক তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।
১১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতির পদে ইস্তফা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। শুরু হলো সংসদীয় গণতন্ত্রের হাত ধরে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা। বঙ্গভবনে সেদিন শপথের পর বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিবেশিত রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মোস্তাফা জব্বার বলেন ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আরও ১১ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং সেদিনই মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করা হয়। এর আগে প্রত্যাবর্তনের পরের দিন ১১ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান আদেশ, ১৯৭২ জারি করা হয়।