বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবি জানালো ‘ইমক্যাব’
- আপডেট সময় : ০৭:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব) শ্রদ্ধা নিবেদন
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের সদস্যদের কিছু সংখ্যক বিপদগামী সেনা সদস্যরা নির্মমভাবে হত্যা করে। সেদিন দেশের বাইরে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা
আমিনুল হক, ঢাকা
শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয় স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে শোকাবহ আগস্টে মাসব্যাপী কর্মসূচী পালন করছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের সদস্যদের কিছু সংখ্যক বিপদগামী সেনা সদস্যরা নির্মমভাবে হত্যা করে। সেদিন দেশের বাইরে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
দীর্ঘ দিন পর হলেও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃতদের খুনিদের বিচার সম্পন্ন হয় শেখ হাসিনা শাসনামলে। কিন্তু খুনিদের পাঁচজন এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ১২ খুনির মধ্যে ৬জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। জিম্বাবুয়েতে পলাতক অবস্থায় একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বাকি পাঁচ খুনি এখনও অধরা। অথচ নির্মম-নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ৪৬ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে পাঁচজনকে দেশে ফেরাতে চেষ্টা চালাচ্ছে হাসিনা সরকার।
বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পলাতক খুনিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে রায় কার্যকরের জোর দাবি জানালো বাংলাদেশে কর্মরত ভারতের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব)।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সংগঠনের তরফে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্বক অর্পণ করা হয়। এ সময় সংগঠনের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত বাঙালি জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে না। পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকরে পদক্ষেপ নিতে আহবান জানান।
এসময় সংগঠনের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক মাছুম বিল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল হক ভূইয়া, নির্বাহী সদস্য সিয়াম সারোয়ার জামিল, জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় দেন। এরপর ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার) এই পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর হয়।