ফুসফুসে বেশি সংক্রমণ : ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ জনের মৃত্যু

- আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ৪০১তম দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখলো বাংলাদেশ। একদিনে ৮৩ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত ৭২০১জন। এই দুঃসংবাদের পথ বেয়ে বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবারের লকডাউনে কোন ছাড় দেয়া হবে না। মাঠ পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের কঠোর প্রস্তুতি। দেশের ৬৪ জেলার দায়িত্বে রয়েছেন, ৬৪জন সচিব। প্রস্তুত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮২২ জনে। এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৫২৩ জন। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ এবং দ্রুত ফুসফুস সংক্রমণে বেশির ভাগ মৃত্যুর অন্যতম কারণ।
রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, হাসপাতালগুলোতে যারা মারা গিয়েছেন, তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটছে ফুসফুসে সংক্রমণজনিত কারণে। এদের অনেকেই ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাছাড়া অনেকের আবার হৃদরোগ, কিডনি বিকল, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, ক্যান্সারের মতো রোগও ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৪ হাজার ৯৬৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৭ হাজার ২০১ জন শনাক্ত হয়েছেন। যা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৭৮ হাজার ১৯৭টি নমুনা। মোট পরীক্ষা হয়েছে ৫০ লাখ ৩৭ হাজার ৮৩৩টি নমুনা।
যার মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫২৩ জনসহ মোট ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মোট মৃত্যুর মধ্যে ৭ হাজার ৩৩৩ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৪৮৯ জন নারী। পুরুষের মৃত্যু হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং নারী ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৩ কোটি ৬৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গিয়েছেন, ২৯ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ১০ কোটি ৯৯ লাখের বেশি মানুষ।