ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফসলের মাঠ পেরিয়ে সমুদ্র সৈকতের বালুকা বেলায় বঙ্গবন্ধু, সঙ্গী ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১ ২৪৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বালুর ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি

আমিনুল হক, ঢাকা

সময়টা বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর। ভিত্তিটা মুজিববর্ষের। এই সময়টাকে সঙ্গী করে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রে দীক্ষিত হাজারো সৈনিক জেগে ওঠেছে। তারা অসাধ্য সাধনে নানা কর্মের মধ্য দিয়ে নজির গড়ে চলেছে। কর্মের স্বীকৃতি এনে দিয়েছে গ্রিনেস বুক রেকর্ড! ফসলের মাঠ থেকে রাজপথ পেরিয়ে এবারে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের বালুবেলায় জেগে ওঠেছেন বাংলার অবিসংবাদি নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটার সৈকতের বালিয়াড়িতে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর বৃহত্তম বালু ভাস্কর্য সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কাতারে কাতারে উৎসুক মানুষ তা একনজর দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য এটি বাড়তি পাওনা।

বুধবার সন্ধ্যায় বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক স্থানীয় মানুষ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর রাতে বর্ণিল আতশবাজি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই

উদ্যোক্তারা জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জেলা পুলিশ এ ভাস্কর্যটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। গত ৯ মার্চ খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ৬ শিক্ষার্থী বালু দিয়ে এই ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শুরু করেন। জিরো পয়েন্টের ১০০ গজ পূর্বদিকে অবস্থিত এ বালু ভাস্কর্যের প্রধান ফটকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তুলে ধরা হয়েছে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপট। ভাস্কর্যটি এক নজর দেখতে পর্যটক ছাড়াও অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের মানুষ ছুটে আসছেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।

বাংলার বুকে শেখ মুজিব

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। শোষনমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ছিলো। তার নির্দেশে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে তার মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো বাংলার মানুষ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য বাংলাদেশ অর্জন করে লালসবুজে খচিত পতাকা।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশে ফিরে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সপরিবারে তাকে হত্যার মাত্র ৯দিন আগে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নিয়েছিলেন বাংলার গণনায়ক বঙ্গবন্ধু। সেদিন তার এই সুদূর প্রসারী ভাবনা আজ বাংলাদেশ গ্যাসসম্পদ ব্যবহার করতে সক্ষম হচ্ছে।


সেসময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া দুই মেয়ের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অপর জন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা হাত ধরেই লাঙ্গল-জোয়ালের বাংলাদেশ আজ মহাকাশ জয় করেছে। জলের তলায় নিরাপত্তায় সদা জাগ্রত রয়েছে সাবমেরিন। খড়স্রোতা পদ্মায় আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে ‘পদ্মা সেতু’।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফসলের মাঠ পেরিয়ে সমুদ্র সৈকতের বালুকা বেলায় বঙ্গবন্ধু, সঙ্গী ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধারা

আপডেট সময় : ০২:১২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

বালুর ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি

আমিনুল হক, ঢাকা

সময়টা বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর। ভিত্তিটা মুজিববর্ষের। এই সময়টাকে সঙ্গী করে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রে দীক্ষিত হাজারো সৈনিক জেগে ওঠেছে। তারা অসাধ্য সাধনে নানা কর্মের মধ্য দিয়ে নজির গড়ে চলেছে। কর্মের স্বীকৃতি এনে দিয়েছে গ্রিনেস বুক রেকর্ড! ফসলের মাঠ থেকে রাজপথ পেরিয়ে এবারে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের বালুবেলায় জেগে ওঠেছেন বাংলার অবিসংবাদি নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটার সৈকতের বালিয়াড়িতে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর বৃহত্তম বালু ভাস্কর্য সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কাতারে কাতারে উৎসুক মানুষ তা একনজর দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য এটি বাড়তি পাওনা।

বুধবার সন্ধ্যায় বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক স্থানীয় মানুষ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর রাতে বর্ণিল আতশবাজি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই

উদ্যোক্তারা জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জেলা পুলিশ এ ভাস্কর্যটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। গত ৯ মার্চ খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ৬ শিক্ষার্থী বালু দিয়ে এই ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শুরু করেন। জিরো পয়েন্টের ১০০ গজ পূর্বদিকে অবস্থিত এ বালু ভাস্কর্যের প্রধান ফটকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তুলে ধরা হয়েছে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপট। ভাস্কর্যটি এক নজর দেখতে পর্যটক ছাড়াও অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের মানুষ ছুটে আসছেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।

বাংলার বুকে শেখ মুজিব

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। শোষনমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ছিলো। তার নির্দেশে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে তার মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো বাংলার মানুষ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য বাংলাদেশ অর্জন করে লালসবুজে খচিত পতাকা।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশে ফিরে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সপরিবারে তাকে হত্যার মাত্র ৯দিন আগে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নিয়েছিলেন বাংলার গণনায়ক বঙ্গবন্ধু। সেদিন তার এই সুদূর প্রসারী ভাবনা আজ বাংলাদেশ গ্যাসসম্পদ ব্যবহার করতে সক্ষম হচ্ছে।


সেসময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া দুই মেয়ের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অপর জন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা হাত ধরেই লাঙ্গল-জোয়ালের বাংলাদেশ আজ মহাকাশ জয় করেছে। জলের তলায় নিরাপত্তায় সদা জাগ্রত রয়েছে সাবমেরিন। খড়স্রোতা পদ্মায় আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে ‘পদ্মা সেতু’।