ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রয়োগের অনুমোদন পেল সিনোফার্মের টিকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বাংলাদেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। সেই মতে গত নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা আনতে চুক্তি করা হয়। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা ছিল চুক্তিতে।

জানুয়ারিতে প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ, ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ মিলিয়ে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া গিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ টিকা।
পরবর্তী ফেব্রুয়ারির পর আর কোন টিকা আসেনি।

এ অবস্থায় বিকল্প উৎস থেকে টিকার যোগান পেতে মাঠে নামের সরকার। অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিলো পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে টিকা মিলবে, সেখান থেকেই টিকা সংগ্রহ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় রাশিয়া, আমেরিকা এবং চীন থেকে টিকার আনার আলোচনা এগোয়। রাশিয়া ও চীনা টিকা বাংলাদেশে তৈরির জন্য মন্ত্রীসভা কমিটির অনুমোদন লাভ করেছে।

রাশিয়ার ‘স্পুৎনিক-ভি’ টিকা বাংলাদেশে প্রয়োগ অনুমোদনের পর এবারে চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার সরবরাহ সঙ্কটে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে জটিলতার মধ্যে দ্রুত দুটি নতুন টিকার অনুমোদন দেওয়া হল।

গত ৮ জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার অনুমোদন দেওয়ার পর গত বুধবার মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি স্পুৎনিক-ভি টিকাও বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসনের সবুজ সংকেত পায়।

সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার আনুষ্ঠানিক নাম বিবিআইবিপি-সিওরভি (ইইওইচ-ঈড়ৎঠ)। এ টিকাও ২৮ দিনের ব্যবধানে দুই ডোজ করে নিতে হয়। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এ টিকা ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কার্যকরিতা দেখিয়েছে বলে উৎপাদনকারীদের ভাষ্য।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এই টিকা কেনা হবে সরকারি পর্যায়ে। চীন অনুদান হিসেবে ৫ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। এগুলো আগামী এক/দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে পৌছাবে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, এই টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল হয়েছে চীনে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বিশ্বের পাঁচটি দেশের ৫৫ হাজার মানুষের ওপর হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটি এ টিকার সব নথিপত্র যাচাই করেছে। টিকা বাংলাদেশে আসার পর প্রথমে ১ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।

যারা প্রথম ডোজে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজে সিনোফার্মের টিকা নিতে পারবেন কি না জানতে চাইলে মেজর জেনারেল মাহবুব বলেন, দ্বিতীয় ডোজে তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই নেবেন।

অন্য কোনো টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে কি না সে বিষয়ে আমাদের ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ আছেন, তাদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা মিটিং করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রয়োগের অনুমোদন পেল সিনোফার্মের টিকা

আপডেট সময় : ১২:০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বাংলাদেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। সেই মতে গত নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা আনতে চুক্তি করা হয়। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা ছিল চুক্তিতে।

জানুয়ারিতে প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ, ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ মিলিয়ে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া গিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ টিকা।
পরবর্তী ফেব্রুয়ারির পর আর কোন টিকা আসেনি।

এ অবস্থায় বিকল্প উৎস থেকে টিকার যোগান পেতে মাঠে নামের সরকার। অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিলো পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে টিকা মিলবে, সেখান থেকেই টিকা সংগ্রহ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় রাশিয়া, আমেরিকা এবং চীন থেকে টিকার আনার আলোচনা এগোয়। রাশিয়া ও চীনা টিকা বাংলাদেশে তৈরির জন্য মন্ত্রীসভা কমিটির অনুমোদন লাভ করেছে।

রাশিয়ার ‘স্পুৎনিক-ভি’ টিকা বাংলাদেশে প্রয়োগ অনুমোদনের পর এবারে চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার সরবরাহ সঙ্কটে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে জটিলতার মধ্যে দ্রুত দুটি নতুন টিকার অনুমোদন দেওয়া হল।

গত ৮ জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার অনুমোদন দেওয়ার পর গত বুধবার মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি স্পুৎনিক-ভি টিকাও বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসনের সবুজ সংকেত পায়।

সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার আনুষ্ঠানিক নাম বিবিআইবিপি-সিওরভি (ইইওইচ-ঈড়ৎঠ)। এ টিকাও ২৮ দিনের ব্যবধানে দুই ডোজ করে নিতে হয়। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এ টিকা ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কার্যকরিতা দেখিয়েছে বলে উৎপাদনকারীদের ভাষ্য।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এই টিকা কেনা হবে সরকারি পর্যায়ে। চীন অনুদান হিসেবে ৫ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। এগুলো আগামী এক/দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে পৌছাবে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, এই টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল হয়েছে চীনে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বিশ্বের পাঁচটি দেশের ৫৫ হাজার মানুষের ওপর হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি কমিটি এ টিকার সব নথিপত্র যাচাই করেছে। টিকা বাংলাদেশে আসার পর প্রথমে ১ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।

যারা প্রথম ডোজে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজে সিনোফার্মের টিকা নিতে পারবেন কি না জানতে চাইলে মেজর জেনারেল মাহবুব বলেন, দ্বিতীয় ডোজে তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই নেবেন।

অন্য কোনো টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে কি না সে বিষয়ে আমাদের ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ আছেন, তাদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা মিটিং করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।