ঢাকা ০১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রবাসীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিষেজ্ঞচিকিৎসকরা বলেছেন বাংলাদেশে বর্তমান করোনার নমুনায় ধরা পড়েছে এটা নতুন ভ্যারিয়েন্ট, যা  প্রবাসীদের মাধ্যমে ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা  : ছবি সংগ্রহ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বিষেজ্ঞচিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশে বর্তমান করোনার নমুনায় ধরা পড়েছে এটা নতুন ভ্যারিয়েন্ট। আর এই মারাত্মক ধরণে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে দেশে আগত প্রবাসীদের মাধ্যমে।

যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের সঠিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা না পারার কারণেই এটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন,
যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে।

আর নতুন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকা প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি! ভাইরাসটি নিজ দেশে যাতে না ঢোকে, সেই চেষ্টাতেই এখন ব্যস্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। অথচ বাংলাদেশে তেমন কোনো তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি বলেও অভিযোগ।

ওপর মহলের তদ্বিরে বিদেশফেরত যাত্রী কোয়ারেন্টাইনে না রেখে বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, এমন অভিযোগও রয়েছে। ফলে এসব প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ঘুরে বেড়িয়েছেন।

যার খেসারত গুণতে হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সেটিও মানতে বহু মানুষের উদাসিনতা রক্ষ্য করা যায়। মানুষের কল্যাণে সরকার যেখানে লকডাউন েিঘাষণা করছে, অথচ জনসাধারণ তা না মেনে আনন্দ করে বেড়িয়েছে।

যেখানে করোনা প্রতিরোধক ওষুধ এখনো তৈরি হয়নি, সেখানে মানুষের অবহেলার খেসারত বহন করতে হচ্ছে গোটা জাতিকে। পরিবার ও সমাজকে রক্ষা করতে হলে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। বিদেশফেরতদের দুই সপ্তাহ বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।

অন্তত দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এজন্য সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করেছে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, বিদেশ থেকে যারা এসেছেন, তাদের শতভাগ কোয়ারেন্টাইনে রাখা নিশ্চিত হলে আমরা সুফল পেতাম। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। মানুষের জীবন রক্ষার্থে যার যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করাতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রবাসীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট 

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১

বিষেজ্ঞচিকিৎসকরা বলেছেন বাংলাদেশে বর্তমান করোনার নমুনায় ধরা পড়েছে এটা নতুন ভ্যারিয়েন্ট, যা  প্রবাসীদের মাধ্যমে ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা  : ছবি সংগ্রহ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বিষেজ্ঞচিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশে বর্তমান করোনার নমুনায় ধরা পড়েছে এটা নতুন ভ্যারিয়েন্ট। আর এই মারাত্মক ধরণে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে দেশে আগত প্রবাসীদের মাধ্যমে।

যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের সঠিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা না পারার কারণেই এটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন,
যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে।

আর নতুন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকা প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি! ভাইরাসটি নিজ দেশে যাতে না ঢোকে, সেই চেষ্টাতেই এখন ব্যস্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। অথচ বাংলাদেশে তেমন কোনো তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি বলেও অভিযোগ।

ওপর মহলের তদ্বিরে বিদেশফেরত যাত্রী কোয়ারেন্টাইনে না রেখে বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, এমন অভিযোগও রয়েছে। ফলে এসব প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ঘুরে বেড়িয়েছেন।

যার খেসারত গুণতে হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সেটিও মানতে বহু মানুষের উদাসিনতা রক্ষ্য করা যায়। মানুষের কল্যাণে সরকার যেখানে লকডাউন েিঘাষণা করছে, অথচ জনসাধারণ তা না মেনে আনন্দ করে বেড়িয়েছে।

যেখানে করোনা প্রতিরোধক ওষুধ এখনো তৈরি হয়নি, সেখানে মানুষের অবহেলার খেসারত বহন করতে হচ্ছে গোটা জাতিকে। পরিবার ও সমাজকে রক্ষা করতে হলে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। বিদেশফেরতদের দুই সপ্তাহ বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।

অন্তত দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এজন্য সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করেছে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, বিদেশ থেকে যারা এসেছেন, তাদের শতভাগ কোয়ারেন্টাইনে রাখা নিশ্চিত হলে আমরা সুফল পেতাম। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। মানুষের জীবন রক্ষার্থে যার যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করাতে হবে।