ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর ৩২০০ কোটি প্রণোদনা নিয়ে কোন স্বজনপ্রীতি সহ্য করা হবে না

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১ ২০৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগ্রহ

মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানলে লকডাউনের প্রয়োজন হয় না কাদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের সহায়তা, গ্রামীণ কর্ম-সৃজন, পর্যটনখাত এবং পরিবহন শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ৩২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্থরা যাতে তালিকাভুক্ত হয় সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে।

মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা লকডাউনের প্রয়োজন হয় না। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করে উদাসীনতায় গা ভাসালে তো লকডাউন অর্থহীন। করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় বড় সহায়ক মাস্ক। করোনার সংক্রমণ বর্তমানে কেবল ঢাকায় সীমাবদ্ধ নয়। গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।

একটা সময় অনেকে মনে করতেন গ্রামের মানুষের করোনা হবে না, এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভাইরাসের সংক্রমণ এখন গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে, প্রতিদিনই সংক্রমণ আগের দিনের হারকে অতিক্রম করে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় মাস্ক পরার পাশাপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রণোদনা প্রদানে যাতে কোন ধরনের স্বজনপ্রীতি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের সহায়তা, গ্রামীণ কর্ম-সৃজন, পর্যটনখাত এবং পরিবহন শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ৩২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্থরা যাতে তালিকাভুক্ত হয় সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে।

ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা এবং ঈদকে ঘিরে অর্থনীতির প্রবাহ গতিশীল রাখতে শেখ হাসিনা সরকার লকডাউন শিথিলের উদ্যোগ নিয়েছেন।

এসময় করোনাকালীন সচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে বিণ্নি স্থানে ক্যাম্পেইন পরিচালনায় সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবীসহ দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, হাটবাজার বা চায়ের দোকানে জটলা তৈরি না করে সতর্কভাবে চলাচল এবং মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানান এই নেতা।

এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে ৮ দিন বাংলাদেশে শর্তসাপেক্ষে ট্রেনসহ সব গণপরিবহন চলাচল করবে। পরিবহণ মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো করোনার বর্তমান সংক্রমণ মাথায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধিসহ শর্তসমূহ মেনে যানবাহন পরিচালনা করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রধানমন্ত্রীর ৩২০০ কোটি প্রণোদনা নিয়ে কোন স্বজনপ্রীতি সহ্য করা হবে না

আপডেট সময় : ০৯:২৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

ছবি সংগ্রহ

মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানলে লকডাউনের প্রয়োজন হয় না কাদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের সহায়তা, গ্রামীণ কর্ম-সৃজন, পর্যটনখাত এবং পরিবহন শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ৩২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্থরা যাতে তালিকাভুক্ত হয় সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে।

মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা লকডাউনের প্রয়োজন হয় না। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করে উদাসীনতায় গা ভাসালে তো লকডাউন অর্থহীন। করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় বড় সহায়ক মাস্ক। করোনার সংক্রমণ বর্তমানে কেবল ঢাকায় সীমাবদ্ধ নয়। গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।

একটা সময় অনেকে মনে করতেন গ্রামের মানুষের করোনা হবে না, এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভাইরাসের সংক্রমণ এখন গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে, প্রতিদিনই সংক্রমণ আগের দিনের হারকে অতিক্রম করে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় মাস্ক পরার পাশাপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রণোদনা প্রদানে যাতে কোন ধরনের স্বজনপ্রীতি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের সহায়তা, গ্রামীণ কর্ম-সৃজন, পর্যটনখাত এবং পরিবহন শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ৩২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্থরা যাতে তালিকাভুক্ত হয় সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে।

ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা এবং ঈদকে ঘিরে অর্থনীতির প্রবাহ গতিশীল রাখতে শেখ হাসিনা সরকার লকডাউন শিথিলের উদ্যোগ নিয়েছেন।

এসময় করোনাকালীন সচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে বিণ্নি স্থানে ক্যাম্পেইন পরিচালনায় সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবীসহ দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, হাটবাজার বা চায়ের দোকানে জটলা তৈরি না করে সতর্কভাবে চলাচল এবং মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানান এই নেতা।

এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে ৮ দিন বাংলাদেশে শর্তসাপেক্ষে ট্রেনসহ সব গণপরিবহন চলাচল করবে। পরিবহণ মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো করোনার বর্তমান সংক্রমণ মাথায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধিসহ শর্তসমূহ মেনে যানবাহন পরিচালনা করবে।