ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের ছাড়পত্র ছাড়া মিলবে না জেনারেটরের তেল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১১২ বার পড়া হয়েছে

পেট্রোল পাম্প

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

পেট্রোল পাম্প থেকে জেনারেটরের জন্য জ্বালানি তেল কিনতে হলে চাই থানার ওসির ছাড়পত্র। তা হলে জ্বালানি তেল মিলবে না।

বিরোধী রাজনৈতিক দলের অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে যানবাহনে আগ্নিসংযোগের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এমন

নির্দেশনা আসলো। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, পেট্রোল বা জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে কোনো ধরনের নাশকতা

ঘটানানোর আশঙ্কা থেকেই ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে

এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবরোধ ও হরতালের নামে বিশেষ একটি মহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রোল বোমা

নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ নাগরিকদের হতাহতকরণসহ নাশকতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন

করে চলছে। চলমান নাশকতার সহজ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কেউ যেন পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করাকে বেছে

নিতে না পারে সে লক্ষ্যে ডিএমপি এসব নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সবধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা

ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবে। সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে

অবস্থিত পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি এবং কার্যকর নিরাপত্তা

নিশ্চিত করবে।

প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ওসি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর

মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে

সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায়

আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন। সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস্), ওসি, ফায়ার সার্ভিস

ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।

পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন। রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব

জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সবধরনের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা, তবে বাড়ি, ফ্যাক্টরি ও প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল

সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত

রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা। পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮ এর লাইসেন্সের শর্তাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যে

কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশের ছাড়পত্র ছাড়া মিলবে না জেনারেটরের তেল

আপডেট সময় : ০৮:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

পেট্রোল পাম্প থেকে জেনারেটরের জন্য জ্বালানি তেল কিনতে হলে চাই থানার ওসির ছাড়পত্র। তা হলে জ্বালানি তেল মিলবে না।

বিরোধী রাজনৈতিক দলের অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে যানবাহনে আগ্নিসংযোগের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এমন

নির্দেশনা আসলো। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, পেট্রোল বা জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে কোনো ধরনের নাশকতা

ঘটানানোর আশঙ্কা থেকেই ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে

এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবরোধ ও হরতালের নামে বিশেষ একটি মহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রোল বোমা

নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ নাগরিকদের হতাহতকরণসহ নাশকতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন

করে চলছে। চলমান নাশকতার সহজ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কেউ যেন পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করাকে বেছে

নিতে না পারে সে লক্ষ্যে ডিএমপি এসব নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সবধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা

ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবে। সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে

অবস্থিত পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি এবং কার্যকর নিরাপত্তা

নিশ্চিত করবে।

প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ওসি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর

মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে

সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায়

আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন। সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস্), ওসি, ফায়ার সার্ভিস

ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।

পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন। রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব

জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সবধরনের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা, তবে বাড়ি, ফ্যাক্টরি ও প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল

সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত

রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা। পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮ এর লাইসেন্সের শর্তাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যে

কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।