ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বললেন ড. ইউনূস

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ ৬২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুলিশকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বললেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। নিজ কার্যালয়ে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ আদিকারীকদের নিয়ে বৈঠকের একদিনের মাথায় এ নির্দেশনা দিলেন ইউনূস। বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসে ড. ইউনূস।

সেখানে পুলিশকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। এর আগে সোমবার মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করার একদিনের মাথায় ড. ইউনূসের তরফে এমন নির্দেশনা আসে। সেই বৈঠকে পুলিশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ড. ইউনূস।

আগামী নির্বাচনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। এসময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা জানান, কর্ম সম্পাদনের ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিভুক্ত করে যাদের কর্মদক্ষতা অপেক্ষাকৃত কম, তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলো অল্প সংস্কারের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে একমত হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন ড. ইউনূস। আর সংস্কার কার্যক্রম প্রসারিত হলে নির্বাচন আরও ৬ মাস পিছিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন ইউনূস। ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে নিয়ে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আলোচনা সভায় প্রধান উপদেষ্টা তৃণমূল পর্যায়ে যেসব পুলিশ কাজ করেন তাদের কল্যাণে কয়েকটি বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও ইউনূস।

পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে যেসব বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো

ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা।

পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ এবং ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া।

পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের যেগুলোর কাজ ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হয়ে আছে, সেগুলোতে অর্থ ছাড় করা।

ভাড়া করা ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা।

পুলিশের এসআই ও এএসআই র‌্যাংকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পুলিশকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বললেন ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

পুলিশকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বললেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। নিজ কার্যালয়ে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ আদিকারীকদের নিয়ে বৈঠকের একদিনের মাথায় এ নির্দেশনা দিলেন ইউনূস। বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসে ড. ইউনূস।

সেখানে পুলিশকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। এর আগে সোমবার মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করার একদিনের মাথায় ড. ইউনূসের তরফে এমন নির্দেশনা আসে। সেই বৈঠকে পুলিশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ড. ইউনূস।

আগামী নির্বাচনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। এসময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা জানান, কর্ম সম্পাদনের ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিভুক্ত করে যাদের কর্মদক্ষতা অপেক্ষাকৃত কম, তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলো অল্প সংস্কারের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে একমত হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন ড. ইউনূস। আর সংস্কার কার্যক্রম প্রসারিত হলে নির্বাচন আরও ৬ মাস পিছিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন ইউনূস। ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে নিয়ে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আলোচনা সভায় প্রধান উপদেষ্টা তৃণমূল পর্যায়ে যেসব পুলিশ কাজ করেন তাদের কল্যাণে কয়েকটি বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও ইউনূস।

পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে যেসব বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো

ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা।

পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ এবং ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া।

পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের যেগুলোর কাজ ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হয়ে আছে, সেগুলোতে অর্থ ছাড় করা।

ভাড়া করা ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা।

পুলিশের এসআই ও এএসআই র‌্যাংকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।