পার্থ বণিকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

- আপডেট সময় : ১০:৩২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ ২৩৬ বার পড়া হয়েছে
অর্থপাচার আইনের মামলায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বরখাস্তকৃত ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে সাড়া দিয়ে বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল পার্থর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন।
তাতে বলা হয়, জামিনে থাকা আসামির বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ বিচারাধীন। বিদেশ চলে যেতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি যাতে বিদেশ যেতে না পারেন সেজন্য পুলিশের বিশেষ শাখাকে (এসবি) নির্দেশ দেওয়া জরুরি।
শুনানি শেষে আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এসবি পুলিশকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের নির্দেশ দেয়। সেসঙ্গে সব বন্দরের ইমিগ্রেশনকে আদেশের অনুলিপি দিতে বলেন। দুদকের আইনজীবী কাজল বলেন, ডিআইজি পার্থ যাতে বিদেশ যেতে না পারেন সেজন্য বিচারক আদেশ দিয়েছেন।
পার্থ গোপাল বণিক ১৭ জুন ভর্চুয়াল শুনানিতে জামিন পান। পরদিন সকালে পার্থ মুক্তি পান। এর আগে হাই কোর্টে কয়েকবার পার্থর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হলেও তাকে এই আদালত জামিন দেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। দুদক জামিন আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করবেন বলেও জানানো হয়।
২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করেছিলো। ২৪ অগাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন পার্থর মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় বলা হয়, বরখাস্ত কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন কোনো ব্যাংকে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের নিজ ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার ঘোষিত আয়কর ফাইলে এ টাকার ঘোষণা নেই। এই টাকা অবৈধ আয় থেকে অর্জিত।