পাঠক-প্রকাশকের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ, নিভৃতে শেষ হলো বইমেলা
- আপডেট সময় : ০৯:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১ ২৩৯ বার পড়া হয়েছে
জাবির আবদুল্লাহ, ঢাকা
এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই বলা যাবেনা। প্রাণের বই মেলা বাঙালি শাশ্বত আবাহনের একটি। রক্ত দিয়ে কেনা ভাষার প্রতি অবণত শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হওয়া বইমেলা অহংকারের। দুনিয়ার একটা বিশাল পাঠক এর ভক্ত। আশপাশের রাজ্যের মানুষের প্রাণবন্ত উপস্থিতি গর্বিত করে বাংলাভাষা তথা বাঙালির রক্তের ঋণকে।
এরই ধারাবহিকতায় দীর্ঘ পথ হেঁটেছে বাঙলা একাডেমীর অমর একুশে বই মেলা। তৈরি করে পাঠক-প্রকাশকদের সেতুবন্ধন। সারাটি বছর বাংলার অগুনতি মানুষ প্রাণের মেলার অপেক্ষায় থাকেন। যেমনটি পহেলা বৈশাখ আর বসন্ত-নবান্ন উৎসবে খুজে পায় মানুষ। এটাই বাঙালির আত্মার খোরাক।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মেলা থাকবে জাকজমকপূর্ণ। বিকাল গড়িয়ে আড্ডা চলবে রাত ন’টা অবদি। তথ্য কেন্দ্রের মাইকে ভেসে আসবে নতুন বইয়ের ঘোষণা। ভক্তদের স্বনাধন্য লেখকরা অটোগ্রাফ দিতে ব্যস্ত সময় পার করেন। অনেক পুরাতন বন্ধুর মুখ মেলে বইমেলায়। স্টল থেকে স্টলে বই পাগল বাঙালির ব্যস্ত অনাগোনা।
কিন্তু না, সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে করোনা। ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে, ভাষামাস ফ্রেব্রুয়ারির পরিবর্তে মেলা শুরু হয় ১৮ মার্চ থেকে শুরু মার্চে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতি কারণে নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগেই সোমবার শেষ হয়ে গেলো অমর একুশে বইমেলা। তা অনেকটা নিভৃতে। পাঠক-লেখলের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে।
৩১ মার্চের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলত। শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে মেলার পর্দা ওঠতো বেলা ১১টায়। এরপর ৪ এপ্রিল ফের পরিবর্তন করা হয় বইমেলার সময়সূচি। সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে অমর একুশে বইমেলা প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এবারের বইমেলায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাসহ ৪৪৩টি প্রকাশনা সংস্থা বিনিয়োগ করে ৯০ কোটি টাকা। বিক্রি হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৯২৮ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণে অন্তত ১০ কোটি বরাদ্দের দাবি করেছেন প্রকাশকরা।