ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১ ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

পাকিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের দুর্দশা, জঙ্গিবাদ এবং অন্যান্য ইস্যুসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশ দপ্তর মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাকিস্তানে সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিনা বিচারে গ্রেপ্তার, মামলা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য এবং সেন্সরশিপ চালানোর জন্য ফৌজদারী মানবাধিকার আইন ব্যবহার ও সাইট অবরুদ্ধকরণের কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো পাকিস্তানের মহিলাদের দুর্দশাকে তুলে ধরা। সে অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দপ্তর পাকিস্তানে নারীর অধিকারকে হ্রাস করা এবং দেশে নারী প্রান্তিককরণ বৃদ্ধির বিভিন্ন কারণের ওপর নজর রেখে আসছিল।

পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান টুডের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে কারণে নারীদের ওপর নজর রেখেছিল সেই কারণগুলোর মধ্যে আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতি, জবাবদিহিতা ও তদন্তের ঘাটতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পাশাপাশি এই প্রতিবেদনে মানব পাচারকে একটি অপরাধ হিসাবেও তুলে ধরা হয়েছে যা দেশটির নারীদের সরাসরি প্রভাবিত করেছিল।

পাকিস্তান টুডে বলছে, এটি বর্ণ ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রান্তিককরণের ক্ষেত্রে বড় অবদানকারী হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। এছাড়া সহিংসতা এবং সহিংসতার হুমকিগুলো নারীদের পাশাপাশি এলজিবিটিকিউসহ অন্যান্য লিঙ্গ এবং যৌন সংখ্যালঘুদের ওপরও প্রভাব ফেলে। পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা রয়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশটিতে খ্রিস্টান, আহমদী মুসলমান এবং হিন্দুদেরসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। শিয়া মুসলিম কর্মীরা দেশের সীমিত অংশে ধারাবাহিকভাবে তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী হত্যার ঘটনা ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা অব্যাহত রেখেছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

পাকিস্তানে গত দুই দশক ধরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়টি রয়েছে। কারণ এই লোকদের স্বজনরা সরকারের কাছ থেকে সুপ্রীম কোর্টের কাছে বিচার দাবি করে আসছে। তবে বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। এছাড়া মিডিয়াতে সেন্সরশিপ গত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইচ্ছাকৃতভাবে ‘অসম্মান’ সম্পর্কে সর্বশেষ বিলটি একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশেষত, ওই প্রতিবেদনটিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, জাতিসত্তা ও সংখ্যালঘুদের (নিখোঁজ ব্যক্তিদের) দুর্দশার কথা বলা হয়েছে যা একটি উদ্বেগের বিষয়। এছাড়া বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি-মেনগালের (বিএনপি-এম) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ হয়েছে ৫ হাজার ১২৮ জন। এরমধ্যে পাওয়া গেছে মাত্র ৪৫০ জনকে। আর এই সময়ে নিখোঁজ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮০০ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পাকিস্তানের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

আপডেট সময় : ০৪:১৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

পাকিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের দুর্দশা, জঙ্গিবাদ এবং অন্যান্য ইস্যুসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশ দপ্তর মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাকিস্তানে সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিনা বিচারে গ্রেপ্তার, মামলা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য এবং সেন্সরশিপ চালানোর জন্য ফৌজদারী মানবাধিকার আইন ব্যবহার ও সাইট অবরুদ্ধকরণের কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো পাকিস্তানের মহিলাদের দুর্দশাকে তুলে ধরা। সে অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দপ্তর পাকিস্তানে নারীর অধিকারকে হ্রাস করা এবং দেশে নারী প্রান্তিককরণ বৃদ্ধির বিভিন্ন কারণের ওপর নজর রেখে আসছিল।

পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান টুডের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে কারণে নারীদের ওপর নজর রেখেছিল সেই কারণগুলোর মধ্যে আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতি, জবাবদিহিতা ও তদন্তের ঘাটতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পাশাপাশি এই প্রতিবেদনে মানব পাচারকে একটি অপরাধ হিসাবেও তুলে ধরা হয়েছে যা দেশটির নারীদের সরাসরি প্রভাবিত করেছিল।

পাকিস্তান টুডে বলছে, এটি বর্ণ ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রান্তিককরণের ক্ষেত্রে বড় অবদানকারী হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। এছাড়া সহিংসতা এবং সহিংসতার হুমকিগুলো নারীদের পাশাপাশি এলজিবিটিকিউসহ অন্যান্য লিঙ্গ এবং যৌন সংখ্যালঘুদের ওপরও প্রভাব ফেলে। পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা রয়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশটিতে খ্রিস্টান, আহমদী মুসলমান এবং হিন্দুদেরসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। শিয়া মুসলিম কর্মীরা দেশের সীমিত অংশে ধারাবাহিকভাবে তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী হত্যার ঘটনা ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা অব্যাহত রেখেছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

পাকিস্তানে গত দুই দশক ধরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়টি রয়েছে। কারণ এই লোকদের স্বজনরা সরকারের কাছ থেকে সুপ্রীম কোর্টের কাছে বিচার দাবি করে আসছে। তবে বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। এছাড়া মিডিয়াতে সেন্সরশিপ গত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইচ্ছাকৃতভাবে ‘অসম্মান’ সম্পর্কে সর্বশেষ বিলটি একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশেষত, ওই প্রতিবেদনটিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, জাতিসত্তা ও সংখ্যালঘুদের (নিখোঁজ ব্যক্তিদের) দুর্দশার কথা বলা হয়েছে যা একটি উদ্বেগের বিষয়। এছাড়া বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি-মেনগালের (বিএনপি-এম) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ হয়েছে ৫ হাজার ১২৮ জন। এরমধ্যে পাওয়া গেছে মাত্র ৪৫০ জনকে। আর এই সময়ে নিখোঁজ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮০০ জন।