ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান পেতে আবেদনের সময় বাড়ল, অনুদানের প্রস্তাব সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ব্রিটিশ কাউন্সিল স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড, চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার, যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের সুযোগ তাইওয়ানে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সঙ্গে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা ছদ্মবেশে ভারতে পালাতে গিয়ে আটক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার ডিম-মুরগির দাম বেঁধে দিল সরকার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৩ জনের চাকরি পূজোয় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে যা বললো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পর্যাক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এক বছরের অধিক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের ওপরে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শিশুশিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার চেয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে নানা রকমের গেম খেলায় জমে গিয়েছে। এতে মানুসিক ও শারীরিক প্রভাবও পড়ছে। মেজাজ হয়ে গেছে, খিটখিটে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করেছে। সরকার পর্যায়েক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবার চিন্তা করছে। প্রাথমিকভাবে গ্রামাঞ্চল এবং যে এলাকায় করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এমন স্থানগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অচিরেই খুলে দেবে সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারী টেলিলিশনে যুক্ত এমন তথ্যই জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

অপর দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হলে সীমিত আকারে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা-ভাবনার কথাও জানিয়েছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। বৃহস্পতিবার অনলাইনে গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘করোনা বিপর্যস্ত শিক্ষা: কেমন বাজেট চাই’ শীর্ষক সংলাপে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এমন ভাবনার কথাই জানান।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ, একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর প্রমুখ। সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক কে এম এনামুল হক।

সংলাপে শিক্ষাবিদরা মতামত দেন, আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে করোনা সহজেই যাবে না। তাই যেসব এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নেই সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে বলে আমাদের পরিকল্পনা ছিল। আর অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা একদিন করে আসবে।

কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতির উন্নতি হলে এই পদ্ধতি নিয়ে এগুতে পারবো।

তিনি বলেন, এখন দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার কাজ শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোশাতে আমাদের সব অবকাঠামো ব্যবহার করছি। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছে আমরা পৌঁছাতে পারছি না। যাদের আনতে পারছি না তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পর্যাক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা

আপডেট সময় : ১১:৩৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এক বছরের অধিক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের ওপরে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শিশুশিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার চেয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে নানা রকমের গেম খেলায় জমে গিয়েছে। এতে মানুসিক ও শারীরিক প্রভাবও পড়ছে। মেজাজ হয়ে গেছে, খিটখিটে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করেছে। সরকার পর্যায়েক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবার চিন্তা করছে। প্রাথমিকভাবে গ্রামাঞ্চল এবং যে এলাকায় করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এমন স্থানগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অচিরেই খুলে দেবে সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারী টেলিলিশনে যুক্ত এমন তথ্যই জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

অপর দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হলে সীমিত আকারে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা-ভাবনার কথাও জানিয়েছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। বৃহস্পতিবার অনলাইনে গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘করোনা বিপর্যস্ত শিক্ষা: কেমন বাজেট চাই’ শীর্ষক সংলাপে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এমন ভাবনার কথাই জানান।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ, একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর প্রমুখ। সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক কে এম এনামুল হক।

সংলাপে শিক্ষাবিদরা মতামত দেন, আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে করোনা সহজেই যাবে না। তাই যেসব এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নেই সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে বলে আমাদের পরিকল্পনা ছিল। আর অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা একদিন করে আসবে।

কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতির উন্নতি হলে এই পদ্ধতি নিয়ে এগুতে পারবো।

তিনি বলেন, এখন দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার কাজ শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোশাতে আমাদের সব অবকাঠামো ব্যবহার করছি। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছে আমরা পৌঁছাতে পারছি না। যাদের আনতে পারছি না তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে।