পর্যটন ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি সীমিত করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১ ২২৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
ফের করোনার উর্ধমুখী প্রাদুর্ভব রুখতে পর্যটন কেন্দ্র, বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি সীমিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। দেশে করোনা ভাইরাস ফের উর্ধমুখি। দিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ দ্র্রুত বাড়ছে। তবে, এখনও লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বিষয়টি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত যখন হয়ে থাকে। যদি এমন কোন সিদ্ধান্তের নির্দেশনা আসে তা আমরা জানাব। বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধির ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছি। তবে, যেসব জায়গায় সংক্রমণ বাড়ছে, সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে, সংক্রমণের হার কমে আসেবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে উৎপত্তিস্থলগুলোকে আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তারপর অন্যকিছু ভাববে সরকার।
তবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এও বলেন, যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তা নিয়ন্ত্রণে আমাদের চেষ্টায় কুলাবে না। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়ে রোগীর সংখ্যা তিন থেকে চারশোর ঘরে নেমে এলেও গত কয়েক দিন ধরে তা বাড়ছে। সবশেষ মঙ্গলবার রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৫৪ জনে। মারা গেছেন ১৮ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন করোনা একটু বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা ২ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছিলো তা এখন ১৩ শতাংশ পৌছে গিয়েছে। এখন একদিনে সাড়ে তিন হাজার সংক্রমিত হয়েছে!
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, কেন বাড়ছে? বাড়ার উৎপত্তস্থলগুলো কোথায়? সেই বাড়ার উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে হবে। হাসপাতালে যে সমস্ত রোগী এসেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি তারা বেশিরভাগ কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছেন, বান্দরবান গিয়েছেন না হয় কুয়াকাটায় গিয়েছেন, নয়তো অন্য কোনো ভেন্যুতে গিয়েছেন, না হয় পিকনিকে গিয়েছেন। সেই বিষয়গুলো আমাদের অবশ্যই কমাতে হবে। বিয়ে, ওয়াজ মাহফিলসহ অন্যান্য যে সামাজিক অনুষ্ঠান সেগুলোতে জনসমাগম সীমিত করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দিয়েছে। বান্দরবান এলাকায় ডিসিদের দিয়েছি। তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। প্রয়োজন হলে ফাইনও করবেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলো অনেক রোগীতে ভরে গেছে। ঢাকা শহরে অনেক রোগী বাইরে থেকে আসছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা এরমধ্যে বেশ কয়েকটা হাসপাতাল করোনার আওতায় নিয়ে এসেছি। ঢাকার বাইরে গাজীপুর, টাঙ্গাইলে হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তর সিটির আইসোলেশন সেন্টার সবচেয়ে বড় স্থান।