পর্দা ওঠবে বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়কের
- আপডেট সময় : ০১:০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১ ২৩০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
তখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিলো। পাকিস্তানী বাহিনী বাঙালিকে নিশ্চহ্ন করার নীল নক্সা চালিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় তৎকালীন পূর্ববঙ্গ থেকে ভারতে চলে যান জাতীয় নেতারা। তারা ৭১’র সালের ১৭ এপ্রিল গাড়ির বহর নিয়ে দেড় কিলোমিটারের (নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে মুজিবনগর) এই সড়কটি দিয়েই মুজিবনগরে এসে অস্থায়ী সরকারের শপথ নিয়েছিলেন। বর্তমান মুজিবনগর থেকে নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত গিয়েছে এ সড়কটি।
মুক্তিযুদ্ধে যে কেবল বাঙালিরাই শহীদ হয়েছেন তা কিন্তু নয়। ভারতের প্রায় ১৭ হাজার সেনা আত্মোৎনর্গ করেছেন। তাদের স্মরণে আশুগঞ্জে থাকা সমাধিসৌধটিও উদ্বোধন করা হবে।
এছাড়াও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কার কাজ হয়েছে, তারও উদ্বোধন করা হবে। বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার পর তার একটা আনুষ্ঠানিকতা থাকবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পালন উপলক্ষ্যে ১৮টি দেশে যৌথভাবে কর্মসূচি উদযাপন করবে বাংলাদেশ-ভারত। এই ১৮টি দেশের নাম এবং তা ঘিরে যে কর্মসূচি থাকবে সেটিও ঘোষণা হবে।
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পর বাণিজ্য ক্ষেত্রে সুবিধার ধরন কী হবে, তা নিয়ে ‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা)’ চুক্তির প্রস্তাব করেছে ভারত।
বর্তমানে বাংলাদেশ সাফটা চুক্তির আওতায় ভারতের কাছ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে থাকে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন ঘটলে সেই সুবিধার ধরনে কী হবে, সে ব্যাপারে একটি যৌথ স্টাডির বিষয় যৌথ ঘোষণায় থাকতে পারে।
বাংলাদেশের ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট এবং ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ স্টাডি পরিচালনা করবে। অভিন্ন নদীগুলোর পানির ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুই নেতার নির্দেশনা যৌথ ঘোষণায় থাকতে পারে।
সীমান্ত হত্যা, ভারতের ঋণের বিভিন্ন প্রকল্পসহ সব ইস্যুতেই আলোচনা হবে এমন বার্তায় দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।
শনিবার বিকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের প্রান্তিকে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সমঝোতা স্মারক এবং প্রকল্প উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্তকরণের জন্য দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উভয় প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে নিজ নিজ দেশের পক্ষে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পৃথক দুটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর আগে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।