ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পদ্মায় স্বাস্থ্যবিধি ভাসিয়ে ঢাকামুখো মানব ঢল!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগ্রহ

পদ্মায় স্বাস্থ্যবিধি ভাসিয়ে দিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানব ঢল! গত দু’দিনের একই চিত্র। পদ্মা পারাপারে বাংলাদেশের প্রধানতম দু’টো নৌরুট হচ্ছে, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং রাজবাড়ির দৌলতদিয়া অপরটি মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার মানুষ এই নৌরুটে পদ্মা পারি দিয়ে তাদের গন্তব্য যাতায়ত করেন। ঈদের আগে থেকেই করোনার সংক্রমন সামাল দিতে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন এবং জলযান চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। তারপরও বিকল্প যানবাহনে কয়েকগুন ভাড়াগুনে স্রোতের মতো গিয়েছে গ্রামের বাড়ি।

যাবার সময় যেমন তাদের রুখা সম্ভব হয়নি, তেমনি আসার পথের চিত্রচিও ভয়ঙ্কর! ছোঁয়াছে রোগ কভিড। মহামারিকালে তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা সত্ত্বেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গাদাগাদি করে ফের ঢাকায় ফিরছেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগা ও ডাক মন্ত্রী মোস্তা জব্বার, এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছেন, রবিবারেই ঢাকায় ফিরেছেন ৪ লাখের ওপরে মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করে সংক্রমণের ঝুঁকিকে সঙ্গী করেই ২১ জেলার ফিরছেন। এই নিয়ন্ত্রণহীন যাত্রার কি যে পরিণত হবে, তার অপেক্ষায় দিন গুণছেন প্রশাসন।

জীবন জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুনেই ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট অফিসের ম্যানেজার মো. ফিরোজ শেখ সংবাদমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত যানবাহন ও যাত্রীর চাপ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। রুটের সকল ফেরি সচল থাকায় সরাসরি আগত যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পদ্মায় স্বাস্থ্যবিধি ভাসিয়ে ঢাকামুখো মানব ঢল!

আপডেট সময় : ০৭:৪০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১

ছবি সংগ্রহ

পদ্মায় স্বাস্থ্যবিধি ভাসিয়ে দিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানব ঢল! গত দু’দিনের একই চিত্র। পদ্মা পারাপারে বাংলাদেশের প্রধানতম দু’টো নৌরুট হচ্ছে, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং রাজবাড়ির দৌলতদিয়া অপরটি মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার মানুষ এই নৌরুটে পদ্মা পারি দিয়ে তাদের গন্তব্য যাতায়ত করেন। ঈদের আগে থেকেই করোনার সংক্রমন সামাল দিতে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন এবং জলযান চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। তারপরও বিকল্প যানবাহনে কয়েকগুন ভাড়াগুনে স্রোতের মতো গিয়েছে গ্রামের বাড়ি।

যাবার সময় যেমন তাদের রুখা সম্ভব হয়নি, তেমনি আসার পথের চিত্রচিও ভয়ঙ্কর! ছোঁয়াছে রোগ কভিড। মহামারিকালে তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা সত্ত্বেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গাদাগাদি করে ফের ঢাকায় ফিরছেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগা ও ডাক মন্ত্রী মোস্তা জব্বার, এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছেন, রবিবারেই ঢাকায় ফিরেছেন ৪ লাখের ওপরে মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করে সংক্রমণের ঝুঁকিকে সঙ্গী করেই ২১ জেলার ফিরছেন। এই নিয়ন্ত্রণহীন যাত্রার কি যে পরিণত হবে, তার অপেক্ষায় দিন গুণছেন প্রশাসন।

জীবন জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুনেই ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট অফিসের ম্যানেজার মো. ফিরোজ শেখ সংবাদমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত যানবাহন ও যাত্রীর চাপ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। রুটের সকল ফেরি সচল থাকায় সরাসরি আগত যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছে।