ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানের জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ফেনীতে দুর্ভোগে লাখো মানুষ আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা বিমান বন্দরে পাঞ্জাবির পকেটে মিললো কোটির টাকার সোনা প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস তুরস্কের হু হু করে বাড়ছে বানের জল, টানা বর্ষণে নির্ঘুম রাত কাটছে ফেণীবাসীর  ৯ জুলাই মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ১০১তম জন্মবার্ষিকী তরুণদের ভাবনায় ২৬’র নির্বাচনে বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২১, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে সরকারী সহায়তার চাল পেলো ভোলার ‘বেদে মৎস্যজীবীরা’ কুয়েতে যেতে কোন শ্রমিককে গুণতে হবে আট লাখ টাকা! যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় ২৪ জনের মৃত্যু

ন্যায়ভিত্তিক সমাজে নির্যাতনের স্থান নেই ড. ইউনূস

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

ন্যায়ভিত্তিক সমাজে নির্যাতনের স্থান নেই ড. ইউনূস

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান ড. ইউনূস বলেছেন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজে এর কোনও স্থান নেই এবং কোনও অবস্থাতেই তা সহ্য করা উচিত নয়। নির্যাতন মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং মানুষের মর্যাদার প্রতি অবমাননা।

ইউনূস বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশের হাজার হাজার বেঁচে যাওয়া মানুষ, যারা ভয়াবহ নির্যাতন ও অমানবিক নিষ্ঠুরতার ক্ষত বহনকারী এবং বিশ্বজুড়ে বেঁচে থাকা আরও অনেক মানুষের সাহস এবং সহনশীলতাকে সম্মান জানাই।

২৬ জুন, আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি উৎসর্গ করেছে বিশ্বব্যাপী যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাদের উদ্দেশে।

ড. ইউনূস বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ভিন্নমত পোষণকারী কণ্ঠস্বর এবং দুর্বলদের লক্ষ্যবস্তু করে নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

এই অন্ধকার যুগে ব্যক্তিকে হয়রানি, আটক এবং দমনের জন্য আইনি সরঞ্জামের অপব্যবহার আইনের শাসনকে ক্ষয় করেছে, আমাদের রাজনীতিকে বিকৃত করেছে এবং আমাদের সমাজের অংশগুলোকে বিষাক্ত করেছে।

ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এই নির্যাতনের সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে বদ্ধপরিকর। প্রকৃতপক্ষে, অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেটের তিনটি উপাদান, বিগত সরকারের অধীনে নির্যাতনকারীদের বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন— সব কিছুর লক্ষ্য বাংলাদেশকে এমন একটি দেশে রূপান্তরিত করা, যেখানে সব নাগরিক নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত এই নির্যাতনের সংস্কৃতি মোকাবিলা এবং জবাবদিহি ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি অধিকার-সম্মানজনক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ন্যায়ভিত্তিক সমাজে নির্যাতনের স্থান নেই ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ১০:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান ড. ইউনূস বলেছেন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজে এর কোনও স্থান নেই এবং কোনও অবস্থাতেই তা সহ্য করা উচিত নয়। নির্যাতন মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং মানুষের মর্যাদার প্রতি অবমাননা।

ইউনূস বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশের হাজার হাজার বেঁচে যাওয়া মানুষ, যারা ভয়াবহ নির্যাতন ও অমানবিক নিষ্ঠুরতার ক্ষত বহনকারী এবং বিশ্বজুড়ে বেঁচে থাকা আরও অনেক মানুষের সাহস এবং সহনশীলতাকে সম্মান জানাই।

২৬ জুন, আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি উৎসর্গ করেছে বিশ্বব্যাপী যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাদের উদ্দেশে।

ড. ইউনূস বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ভিন্নমত পোষণকারী কণ্ঠস্বর এবং দুর্বলদের লক্ষ্যবস্তু করে নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

এই অন্ধকার যুগে ব্যক্তিকে হয়রানি, আটক এবং দমনের জন্য আইনি সরঞ্জামের অপব্যবহার আইনের শাসনকে ক্ষয় করেছে, আমাদের রাজনীতিকে বিকৃত করেছে এবং আমাদের সমাজের অংশগুলোকে বিষাক্ত করেছে।

ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এই নির্যাতনের সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে বদ্ধপরিকর। প্রকৃতপক্ষে, অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেটের তিনটি উপাদান, বিগত সরকারের অধীনে নির্যাতনকারীদের বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন— সব কিছুর লক্ষ্য বাংলাদেশকে এমন একটি দেশে রূপান্তরিত করা, যেখানে সব নাগরিক নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত এই নির্যাতনের সংস্কৃতি মোকাবিলা এবং জবাবদিহি ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি অধিকার-সম্মানজনক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছি।