ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজনাথের বক্তব্য কূটনৈতিক শালীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুকে-পিঠে গণতন্ত্রের বার্তা লেখা সেই শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, বাতাস আবারও খুব অস্বাস্থ্যকর পুরাতন ঢাকায় দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত মাঠে থাকা সেনা সদস্যদের একাশং তুলে নেওয়া হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিষিদ্ধ দল বা  সন্ত্রাসী সংগঠন  বিক্ষোভের চেষ্টা করলে  কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব ঘোষণা দিয়েও সরকার আলু কেনেনি, লাখো টন মজুত, স্বপ্ন ভঙ্গ কৃষকের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৬ ডিগ্রিতে, ডিসেম্বরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ নিরপেক্ষ ভোটের প্রস্তুতি: ডিসি রদবদলে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন নিম্নবিত্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে টিসিবির তালিকায়  যুক্ত হচ্ছে নতুন পাঁচ পণ্য

ন্যাশনাল জিওগ্রানারী হওয়ার কারণে আমার কাজ করতে সুবিধা হয়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ ৪৭৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

নারী হওয়ার কারণে তার কাজের সুবিধা হয়েছে বলে মন্তব্য করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রথম নারী ফটোগ্রাফার অ্যানি গ্রিফিথস। অ্যানি গ্রিফিথস মনে করেন, নারী হওয়ার কারণে কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে তার তোলা হাজার হাজার ছবি রয়েছে। ৪৫ বছরের কর্মজীবনে ১৫০টির ও বেশি দেশ ঘুরেছেন ছবি তোলার জন্য।

ফটোসাংবাদিকতা করে তিনি উপলব্ধি করেন, অর্ধেক পৃথিবী তার কাছেই আছে। অ্যানি পাঁচ বছর মধ্যপ্রাচ্যে কাটিয়েছেন বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক অংশ এবং তাদের সংস্কৃতির অনেক দিকে আছে লিঙ্গবৈষম্য। পশ্চিমা বিশ্বে এ নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা হয়। নারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা দেখার সুযোগ আছে! গ্রিফিথের ক্যামেরায় ধরা পড়ে নারীরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অভিবাসন, বৈষম্য, যুদ্ধ, মহামারি ও দুর্ভিক্ষ থেকে বেঁচে যাওয়া যোদ্ধা হয়ে ওঠার গল্প।

তিনি বলেন, এত বিপর্যয়ের পরও তারা ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখে, শিশুদের লালনপালন করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। অ্যানি গ্রিফিথস জানান, ‘আমি সব সময় নারীদের সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। নারীর এক অশ্চর্য ক্ষমতা আছে। পুরুষেরা সংসারত্যাগী হলেও নারীরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংসারের হাল ধরে রাখছেন।

তাদের সন্তানদের এবং কখনো কখনো তাদের শ্বশুর-শাশুড়িকেও দেখাশোনা করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে অ্যানি গ্রিফিথস দুই সন্তানের মা। সন্তানদের কাছেও তার মমতা আর দায়িত্বশীলতার প্রমাণ রেখেছেন। সন্তানদের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি দুই সপ্তাহের বেশি তাদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন না।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সঙ্গে তার বেশির ভাগ কাজ অন্তত তিন মাস স্থায়ী হয়। এই সুযোগে গ্রিফিথের সন্তানেরা ডজনখানেক দেশ দেখেছে এবং হাজার হাজার মানুষ দেখেছে। ২০০৮ সালে গ্রিফিথস ছবির স্মৃতিকথার একটি বই প্রকাশ করেন, যার নাম দিয়েছেন ‘একটি ক্যামেরা, দুই সন্তান এবং একটি উট’। যেখানে লেখা রয়েছে কাজ, পরিবার এবং পুরো বিশ্ব এই তিনকে এক সুরে গাঁথা সম্ভব।
ফিকের প্রথম নারী ফটোগ্রাফার অ্যানি গ্রিফিথস

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ন্যাশনাল জিওগ্রানারী হওয়ার কারণে আমার কাজ করতে সুবিধা হয়েছে

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

নারী হওয়ার কারণে তার কাজের সুবিধা হয়েছে বলে মন্তব্য করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রথম নারী ফটোগ্রাফার অ্যানি গ্রিফিথস। অ্যানি গ্রিফিথস মনে করেন, নারী হওয়ার কারণে কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে তার তোলা হাজার হাজার ছবি রয়েছে। ৪৫ বছরের কর্মজীবনে ১৫০টির ও বেশি দেশ ঘুরেছেন ছবি তোলার জন্য।

ফটোসাংবাদিকতা করে তিনি উপলব্ধি করেন, অর্ধেক পৃথিবী তার কাছেই আছে। অ্যানি পাঁচ বছর মধ্যপ্রাচ্যে কাটিয়েছেন বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক অংশ এবং তাদের সংস্কৃতির অনেক দিকে আছে লিঙ্গবৈষম্য। পশ্চিমা বিশ্বে এ নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা হয়। নারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা দেখার সুযোগ আছে! গ্রিফিথের ক্যামেরায় ধরা পড়ে নারীরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অভিবাসন, বৈষম্য, যুদ্ধ, মহামারি ও দুর্ভিক্ষ থেকে বেঁচে যাওয়া যোদ্ধা হয়ে ওঠার গল্প।

তিনি বলেন, এত বিপর্যয়ের পরও তারা ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখে, শিশুদের লালনপালন করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। অ্যানি গ্রিফিথস জানান, ‘আমি সব সময় নারীদের সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। নারীর এক অশ্চর্য ক্ষমতা আছে। পুরুষেরা সংসারত্যাগী হলেও নারীরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংসারের হাল ধরে রাখছেন।

তাদের সন্তানদের এবং কখনো কখনো তাদের শ্বশুর-শাশুড়িকেও দেখাশোনা করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে অ্যানি গ্রিফিথস দুই সন্তানের মা। সন্তানদের কাছেও তার মমতা আর দায়িত্বশীলতার প্রমাণ রেখেছেন। সন্তানদের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি দুই সপ্তাহের বেশি তাদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন না।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সঙ্গে তার বেশির ভাগ কাজ অন্তত তিন মাস স্থায়ী হয়। এই সুযোগে গ্রিফিথের সন্তানেরা ডজনখানেক দেশ দেখেছে এবং হাজার হাজার মানুষ দেখেছে। ২০০৮ সালে গ্রিফিথস ছবির স্মৃতিকথার একটি বই প্রকাশ করেন, যার নাম দিয়েছেন ‘একটি ক্যামেরা, দুই সন্তান এবং একটি উট’। যেখানে লেখা রয়েছে কাজ, পরিবার এবং পুরো বিশ্ব এই তিনকে এক সুরে গাঁথা সম্ভব।
ফিকের প্রথম নারী ফটোগ্রাফার অ্যানি গ্রিফিথস