ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ প্রমাণ হলেই চীনের ভ্যাকসিনের অনুমোদন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী নিজেদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে চীন। এর মাধ্যমে করোনার কারণে দেশটি যে সুনাম হারিয়েছে সেটি তারা ফিরে পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চীনের দুই বন্ধু দেশ ব্রাজিল এবং পাকিস্তানও ভ্যাকসিন নিয়ে গুরুতর শঙ্কা প্রকাশ করেছে। এছাড়া অন্যান্য দেশের আইনপ্রণেতারাও জানিয়েছেন যে নিরাপদ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তারা চীনের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেবেন না।

একারণে চীনের কৌশলও প্রায় ব্যর্থ হয়েছে। কারণ অনেক দেশই ইতোমধ্যে জানিয়েছেন যে চীনে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন অকার্যকর। এমনকি চীনের মানুষও এই ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা করতে পারছেন না।

ব্রাজিলের বুটানটান ইনস্টিটিউট জানিয়েছে চীনের সিনোভ্যাক তাদেরকে হতাশ করেছে। ভ্যাকসিনটি ৫০ শতাংশের বেশি সুরক্ষা দিতে পারে না। চীন পাকিস্তানকে নিজেদের কলোনি হিসেবে গণ্য করে সেখানে চীনা-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর তৈরি করছে।

সেই পাকিস্তানের জনগণই চীনের ভ্যাকসিনে নিতে চাইছে না। এ নিয়ে করাচির মোটরসাইকেল চালক ফারমান আলী শাহ বলেন, আমি এটায় বিশ্বাস করি না। আমি নেইনি এটা। এদিকে মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইনও জানিয়েছে যে ট্রায়ালের ফল সন্তোষজনক না আসা পর্যন্ত তারা চীনের ভ্যাকসিন ব্যবহার করবে না।

এদিকে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে নিজেদের ভ্যাকসিন নিয়ে প্রভাব খাটাতে চাইছে চীন। এ নিয়ে চীনের সাবেক মেক্সিকান রাষ্ট্রদূত জর্জে গুজার্ডো বলেন, তারা তাদের নিজেদের জন্য দেশগুলোকে বিচলিত করে। চীনের ভ্যাকসিনের অকার্যকর হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।

২০১৮ সালেও শিশুদের জন্য তৈরি ১০ লাখ ত্রুটিপূর্ণ ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল চীন। এদিকে চীনের ভ্যাকসিন অকার্যকর হওয়া বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এখন ভারত , যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের থেকে ভ্যাকসিন ক্রয় করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নিরাপদ প্রমাণ হলেই চীনের ভ্যাকসিনের অনুমোদন

আপডেট সময় : ০১:২৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী নিজেদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে চীন। এর মাধ্যমে করোনার কারণে দেশটি যে সুনাম হারিয়েছে সেটি তারা ফিরে পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চীনের দুই বন্ধু দেশ ব্রাজিল এবং পাকিস্তানও ভ্যাকসিন নিয়ে গুরুতর শঙ্কা প্রকাশ করেছে। এছাড়া অন্যান্য দেশের আইনপ্রণেতারাও জানিয়েছেন যে নিরাপদ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তারা চীনের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেবেন না।

একারণে চীনের কৌশলও প্রায় ব্যর্থ হয়েছে। কারণ অনেক দেশই ইতোমধ্যে জানিয়েছেন যে চীনে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন অকার্যকর। এমনকি চীনের মানুষও এই ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা করতে পারছেন না।

ব্রাজিলের বুটানটান ইনস্টিটিউট জানিয়েছে চীনের সিনোভ্যাক তাদেরকে হতাশ করেছে। ভ্যাকসিনটি ৫০ শতাংশের বেশি সুরক্ষা দিতে পারে না। চীন পাকিস্তানকে নিজেদের কলোনি হিসেবে গণ্য করে সেখানে চীনা-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর তৈরি করছে।

সেই পাকিস্তানের জনগণই চীনের ভ্যাকসিনে নিতে চাইছে না। এ নিয়ে করাচির মোটরসাইকেল চালক ফারমান আলী শাহ বলেন, আমি এটায় বিশ্বাস করি না। আমি নেইনি এটা। এদিকে মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইনও জানিয়েছে যে ট্রায়ালের ফল সন্তোষজনক না আসা পর্যন্ত তারা চীনের ভ্যাকসিন ব্যবহার করবে না।

এদিকে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে নিজেদের ভ্যাকসিন নিয়ে প্রভাব খাটাতে চাইছে চীন। এ নিয়ে চীনের সাবেক মেক্সিকান রাষ্ট্রদূত জর্জে গুজার্ডো বলেন, তারা তাদের নিজেদের জন্য দেশগুলোকে বিচলিত করে। চীনের ভ্যাকসিনের অকার্যকর হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।

২০১৮ সালেও শিশুদের জন্য তৈরি ১০ লাখ ত্রুটিপূর্ণ ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল চীন। এদিকে চীনের ভ্যাকসিন অকার্যকর হওয়া বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এখন ভারত , যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের থেকে ভ্যাকসিন ক্রয় করছে।