নিউইয়র্কে ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’র উদ্বোধন করলেন ড. মোমেন

- আপডেট সময় : ১২:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সোমবার ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’-এর উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে লাউঞ্জটি স্থাপন করা হয়। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “লাউঞ্জটিতে বিভিন্ন বই, ছবি, প্রামাণ্যচিত্র ও গ্রাফিক্যাল ডিসপ্লের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।
বহপাক্ষিকতাবাদ, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি জাতির পিতার যে গভীর আস্থা ও বিশ্বাস ছিল, বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জের এই সংগ্রহ যেন তা-ই ফুটিয়ে তুলেছে”।
তিনি লাউঞ্জটিতে জাতির পিতার উপর আরও বই ও প্রদর্শণী সামগ্রী প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেমের বিদেশমন্ত্রক মিশনের এক সংবাদ বার্তায় এতথ্য জানানো হয়।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ সময় জানান, “গত বছর লাউঞ্জটি স্থাপনের কাজ শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্ভব হয়নি। এটি অত্যন্ত আনন্দের যে অবশেষে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লাউঞ্জটি উদ্বোধনের জন্য পেয়েছি। আমার বিশ্বাস, লাউঞ্জটি মিশনে আগত সুধিজনদের বিশ্ব শান্তির প্রতি জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে”।
মিশনে আসা জাতিসংঘ ও সদস্য রাষ্ট্রসমূহের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবর্গের বৈঠকের জন্য লাউঞ্জটি ব্যবহৃত হবে। এর ফলে তারা জাতির পিতা জীবনাদর্শ সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের সুযোগ পাবেন।
জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। সেই থেকে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএস এর নির্বাহী বোর্ডের সহ-সভাপতি, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এজেন্ডাসমূহ শ্রেনীবিন্যাসের ক্ষেত্রে গঠিত আন্তরাষ্ট্রীয় কনসালটেশনের ফ্যাসিলেটেটর, এবং পঞ্চম জাতিসংঘ এলডিসি কনফারেন্সের প্রস্তুতি কমিটির সহ-সভাপতি বাংলাদেশ।
একইদিন অপরাহ্নে জাতিসংঘের অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। আলোচনাকালে বিদেশমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পরিবহণে বাংলাদেশ বিমানকে অন্তর্ভূক্ত করা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য খারেকে ধন্যবাদ জানান।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল খারে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে জাতিসংঘের পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত কৌশল বাস্তবায়নে নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ শান্তিরক্ষী মোতায়েনে বাংলাদেশের যে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি রয়েছে তার প্রশংসাও করেন খারে।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি করার মাধ্যমে নারী শান্তিরক্ষীদের দ্বারা কৌশলগত যোগাযোগ এগিয়ে নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে প্রস্তাব দেন তাকে স্বাগত জানান খারে। বিদেশমন্ত্রী অতুল খারেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষকে জানানোর অনুরোধ করেন।