ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নায়িকা পরীমনির মামলার প্রধান আসামি নাসিরসহ ধৃত ৫

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১ ২৫৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাসির ইউ মাহমুদ : সকল ছবি সংগ্রীত

শারীরিক হেনস্থা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলায় প্রধান আসামি নাসির ইউদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকাল নাগাদ তাঁদের উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর তিনজন হলেন লিপি, সুমি ও স্নিগ্ধা।

পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ। আর ডিএমপি মিডিয়া অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারের সময় আসামীদের হেফাজত থেকে মাদকও জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার ঢাকা সার্কেল অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সাভার মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক টিম মাঠে নেমেছেন। তারা অভিযান চালাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পরীমনির করা মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। যার মধ্যে অভিযোগে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাতনামা।

এর আগে শারীরিক হেনস্থা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমণিকে। পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পরীমনির মামলার ঘটনাটি ঢাকা জেলা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও (ডিবি) ছায়া তদন্ত চালাচ্ছে।

চিত্রনায়িকা পরীমনি রবিবার রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানান, ১০ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমির সঙ্গে বাইরে বের হন। বন্ধুটি তাঁদের নিয়ে যান আশুলিয়ার একটি ক্লাবে। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। তাদের মধ্যে একজন হঠাৎ জোর করে তার মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ সময় মারধর করা হয় পরীর সঙ্গে থাকা জিমিকেও।

চিত্রনায়িকা পরীমনির অভিযোগ, ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাঁর অভিযোগ রেকর্ড করেননি। বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ সময় পুলিশের সাহায্যে পরীমনি হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান। এ ঘটনায় মারাত্মক ভেঙে পড়েছেন পরীমনি। ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

রবিবার সন্ধ্যার সময় ফেসবুক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন, তাঁকে শারীরিক হেনস্থা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নায়িকা পরীমনির মামলার প্রধান আসামি নাসিরসহ ধৃত ৫

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

নাসির ইউ মাহমুদ : সকল ছবি সংগ্রীত

শারীরিক হেনস্থা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলায় প্রধান আসামি নাসির ইউদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকাল নাগাদ তাঁদের উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর তিনজন হলেন লিপি, সুমি ও স্নিগ্ধা।

পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ। আর ডিএমপি মিডিয়া অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারের সময় আসামীদের হেফাজত থেকে মাদকও জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার ঢাকা সার্কেল অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সাভার মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক টিম মাঠে নেমেছেন। তারা অভিযান চালাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পরীমনির করা মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। যার মধ্যে অভিযোগে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাতনামা।

এর আগে শারীরিক হেনস্থা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমণিকে। পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পরীমনির মামলার ঘটনাটি ঢাকা জেলা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও (ডিবি) ছায়া তদন্ত চালাচ্ছে।

চিত্রনায়িকা পরীমনি রবিবার রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানান, ১০ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমির সঙ্গে বাইরে বের হন। বন্ধুটি তাঁদের নিয়ে যান আশুলিয়ার একটি ক্লাবে। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। তাদের মধ্যে একজন হঠাৎ জোর করে তার মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ সময় মারধর করা হয় পরীর সঙ্গে থাকা জিমিকেও।

চিত্রনায়িকা পরীমনির অভিযোগ, ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাঁর অভিযোগ রেকর্ড করেননি। বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ সময় পুলিশের সাহায্যে পরীমনি হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান। এ ঘটনায় মারাত্মক ভেঙে পড়েছেন পরীমনি। ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

রবিবার সন্ধ্যার সময় ফেসবুক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন, তাঁকে শারীরিক হেনস্থা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমনি।