বিতাড়িত রোহিঙ্গা নাগরিকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর

- আপডেট সময় : ১০:১৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে
জোরপূর্বক মায়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীবি : ছবি আইএসপিআর
কক্সবাজারের রামুতে রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মায়ানমার নাগরিকদের মানবিক ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বার্তায় জানায়, কক্সবাজারের রামু রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার আরও ৫ হাজার ৯৮৭ রোহিঙ্গা পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন সম্প্রতি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের রামুতে অবস্থিত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক (এফডিএমএন) শিবিরে অবস্থিত পরিবারগুলোর জন্য ১০ কেজি চাল এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বিতরণের কার্যক্রম গ্রহন করে।
যার প্রেক্ষিতে ২৭ এপ্রিল ক্যাম্প ৮ (ওয়েস্ট) এর সর্বমোট ১ হাজার ৫৭৬ জনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করার মাধ্যমে দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে গত ২ মে ২ হাজার ৬৫২ রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বালুখালী আর্মি ক্যাম্পের আওতাধীন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে-৯ এ ১০ পদাতিক ডিভিশনের ৬৫ পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ৬৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ব্যবস্থাপনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজার ৯৮৭ রোহিঙ্গা পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল ও দৈনন্দিন ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ কার্যক্রমের আওতায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ২১৫ ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা পরিবারকে সর্বমোট ১০০ মেট্রিকটন চাল ও অন্যান্য দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, কক্সবাজারের রামুতে অবস্থিত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক (এফডিএমএন) ক্যাম্প ৮ (ইস্ট), ৮ (ওয়েস্ট) এবং রোহিঙ্গা শিবিরে ৯ এ ২২ মার্চ আনুমানিক বিকেল তিনটার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে শিবির ৮ (ইস্ট) এ ১ হাজার ৫৭৮টি, শিবির ৮ (ওয়েস্ট) এ ২ হাজার ৬৫২টি এবং শিবির ৯ এ ৫ হাজার ৯৮৭টি ঘরবাড়ি ভষ্মিভূত হয়। ঘটনায় ১৫ জন নিহত হন বলে জানা যায়।
অগ্নিকাণ্ডের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন, রামু সেনানিবাসের অধীন উখিয়া, বালুখালী এবং পালংখালী আর্মি ক্যাম্প অগ্নি নির্বাপণের প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে রামু সেনানিবাস থেকে ফায়ার ব্রিগেডের একটি দল মেডিক্যাল টিমসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।